বিশ্বের অন্যতম আন্তর্জাতিক জাহাজ ভ্রমণ পরিষেবা প্রতিষ্ঠান রয়েল ক্যারিবিয়ান। গত বছরের ডিসেম্বরে এ প্রতিষ্ঠানের একটি প্রমোদতরিতে যাত্রা করেন ৩৫ বছর বয়সী মাইকেল ভার্জিল।
উদ্দেশ্য লস অ্যাঞ্জেলসের সান পেদ্রো থেকে মেক্সিকোর এনসেনাদা পর্যন্ত ভ্রমণ করা, তবে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছানোর আগেই ওই জাহাজে মৃত্যু হয় ভার্জিলের।
আইউইটনেস নিউজ জানায়, এ ঘটনায় অতিরিক্ত মদ পরিবেশন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে জাহাজ কর্তৃপক্ষের নামে মামলা করেছে ভার্জিলের পরিবার।
চলতি সপ্তাহে করা ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগীকে ৩০ বারের বেশি মদ পরিবেশন করা হয়। একসময় মাতাল হয়ে গেলে নিজ কামরায় ফিরতে উদ্যত হন ভিজিল, কিন্তু কামরা খুঁজে না পেয়ে রাগারাগি শুরু করেন।
পরে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে শারীরিক বল প্রয়োগ করেন ক্রু সদস্যরা। তার দিকে পেপার স্প্রে ছুড়ে মারা হয়। পাশাপাশি তাকে শান্ত করার জন্য শরীরে ইনজেকশন দেওয়া হয়।
মৃত্যু পরবর্তী ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায়, ভার্জিলের শরীরে চাপ প্রয়োগের চিহ্ন আছে। তাকে একাধিক ক্রু বল প্রয়োগ করেছিলেন।
ভার্জিলের পরিবারের পক্ষের আইনজীবী কেভিন হ্যায়নেস জানান, ওই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভার্জিল জাহাজের একটি দরজায় লাথি মারছেন।
হ্যায়নেস বলেন, ‘কিন্তু তিনি এমন মানুষ নন। তিনি একজন স্নেহময় পিতা ও বিনয়ী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
‘অতিরিক্ত মদ্যপান ব্যক্তিকে ভিন্ন মানুষে রূপান্তরিত করে। এর পরিণতি হিসেবে ভার্জিলকে মেরে ফেলতে পারে না।’
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ ভার্জিলের মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ভুক্তভোগীর মৃত্যুর পর এক বিবৃতিতে যাত্রীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে রয়েল ক্যারিবিয়ান কর্তৃপক্ষ।