ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের কাছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় কবির কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হন তরুণ এ নেতা।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা সম্পন্ন হয়। বড় ভাই আবুবকর সিদ্দিক হাদির জানাজা পড়ান। এরপর লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যানে করে তার মরদেহ ঢাবি ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়।
ওই সময় ফ্রিজিং ভ্যানের সঙ্গে ঢাবি অভিমুখে রওনা হয় হাজারো মানুষের কাফেলা।
নিরাপত্তাজনিত কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রবেশপথ বন্ধ রাখা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরের দিন ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা।
প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ শুক্রবার সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার সারা দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন হচ্ছে। তার রুহের মাগফিরাত কামনায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে শুক্রবার দেশের মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তার আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।