আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্রটি পিয়ংইয়ংয়ের কাছাকাছি একটি জায়গা থেকে বুধবার সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ছোড়া হয়। এরপর ১১টা ১৩ মিনিটে এটি জাপানের ওকুশিরি দ্বীপের প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে জাপান সাগরে পড়ে।
জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি হিরোকাজু মাতসুনো জানান, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাড় হানে। তবে এর সর্বোচ্চ সক্ষমতা ছয় হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত।
সম্প্রতি সাউথ কোরিয়ায় অ্যামেরিকার পরমাণু অস্ত্রবাহী সাবমেরিন পাঠানোর পরিকল্পনার পর পরই নর্থ কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করল।
নর্থ কোরিয়ার স্পাই স্যাটেলাইট গত ৩১ মে বিধ্বস্ত হওয়ার পর দেশটি জানিয়েছিল, খুব শিগগিরই তারা নতুন করে উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নেবে। তবে জাপান জানিয়েছে, বুধবার নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি অন্য ধরনের। এর সঙ্গে আগেরগুলোর কোনো মিল নেই।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘নর্থ কোরিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবার এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে। কোরিয়ার এই আচরণ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’
কিশিদা বলেন, নর্থ কোরিয়ার মিসাইল ও পারমাণবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণে জাপান সাউথ কোরিয়া ও অ্যামেরিকার সঙ্গে কাজ করবে।
অন্যদিকে সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল বলেন, ‘এমন অবৈধ কাজের জন্য নর্থ কোরিয়াকে মূল্য দিতে হবে।’