ডাচ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চীনা গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ছে: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৩১ ২০২৫, ১২:৫৪

সেরনেদারল্যান্ড প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুবেন ব্রেকেলম্যানস। ছবি: রয়টার্স

সেরনেদারল্যান্ড প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুবেন ব্রেকেলম্যানস। ছবি: রয়টার্স

  • 0

নেদারল্যান্ডসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুবেন ব্রেকেলম্যানস জানিয়েছেন, দেশটির প্রযুক্তি খাতে চীনা গোয়েন্দা তৎপরতা ক্রমেই বাড়ছে। সাইবার হামলার প্রধান উৎস হিসেবে চীনকে চিহ্নিত করেছে ডাচ গোয়েন্দা সংস্থা। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৌশলগত খাতে সুরক্ষা এবং চীনের ওপর নির্ভরতা কমানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি।

ডাচ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চীনা গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সেরনেদারল্যান্ড প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুবেন ব্রেকেলম্যানস।

সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত শাংরি-লা ডায়ালগ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে শনিবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ব্রেকেলম্যানস বলেন, ‘আমরা প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে, বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে। চীনের জন্য এই খাতের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি সংগ্রহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’

গত বছর এপ্রিলে ডাচ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানায়, চীনা গোয়েন্দারা নেদারল্যান্ডসের সেমিকন্ডাক্টর, মহাকাশ ও সামুদ্রিক শিল্পে নজরদারি করছে—এমনকি এই প্রযুক্তি চীনের সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করতে ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে তারা।

এই নজরদারি থেমে গেছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রেকেলম্যানস বলেন, ‘না, এটি এখনো চলছে। আমাদের সর্বশেষ গোয়েন্দা প্রতিবেদন বলছে, সবচেয়ে বড় সাইবার হুমকি এখন চীন থেকেই আসছে। আমরা যেসব সাইবার তৎপরতা লক্ষ্য করছি, তার বেশিরভাগই চীন থেকে পরিচালিত।’

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে সাধারণত বেইজিং এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে এবং সব ধরনের সাইবার হামলার বিরোধিতা করে বলে জানিয়ে আসছে।

২০২৩ সালে ডাচ গোয়েন্দারা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে জানায়, চীনের রাষ্ট্রীয় সহায়তাপ্রাপ্ত সাইবার গুপ্তচররা ডাচ সামরিক নেটওয়ার্কে প্রবেশ করেছিল।

রুবেন ব্রেকেলম্যানস আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা এখন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কারণ চীন এখন তাদের অর্থনৈতিক প্রভাবকে ভূরাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।’

তিনি জানান, গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো রক্ষায় নেদারল্যান্ডস ইতিমধ্যে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতীয় পর্যায়ে চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন তিনি। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামালের ক্ষেত্রে এই নির্ভরতা হ্রাসের প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি জোর দেন।