ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল রিয়াল মাদ্রিদ। এর আগে স্পেইনের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি বিভিন্ন ফরম্যাটে রেকর্ডসংখ্যক বার এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে। অন্যদিকে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন বা পিএসজির জ্বলজ্বলে তেমন কোন ঐতিহ্য নেই। শুধু এই বছর ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অনন্য জয় ছাড়া।
চলতি বছর তারা অসাধারণ খেলছে। স্বপ্নের মতো মৌসুমে ঘরোয়া ফুটবলের ট্রেবল জয়ের পর ইউরোপ সেরা হয়েছে। এবার বিশ্বসেরা হওয়ার হাতছানি তাদের সামনে। সেকারণেই কিনা অ্যামেরিকার মাটিতে দারুণভাবে জ্বলে উঠেছে প্যারিসের ক্লাবটি।
বুধবার নিউ জার্সির দর্শক ঠাসা মেটলাইফ স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনালে দুই ফেভারিটের লড়াইটা বেশ উপভোগ্য হবে বলেই আশা করা হচ্ছিলো। কিন্তু তা আর হতে দেয়নি কোচ লুই এনরিকের শিষ্যরা। প্রথমার্ধেই প্রতিপক্ষের ওপর চেপে বসে। আর তাতেই ছন্নছাড়া ফুটবল খেলতে থাকে জাভি আলোনসোর শিষ্যরা।
মাত্র ছয় মিনিটের মাথায় উসমান ডেম্বেলেকে ট্যাকেল করতে গিয়ে ভুল করে বসে রিয়ালের রক্ষণের এক খেলোয়াড়। থিবো কর্তোয়ার ফিস্টে বল পেয়ে যায় ফাঁকায় দাঁড়ানো ফাবিয়েন রুইজ। তাঁর বা-পায়ের জোরালো শট জায়গা করে মাদ্রিদের জালে।
তিন মিনিট পার না হতেই আবারো স্প্যানিশ জায়ান্টদের ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে যান ডেম্বেলে। মধ্যমাঠের এই তারকা দ্রুতগতিতে কর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে মাটি কামড়ানো শটে বল পৌঁছে দেন নির্দিষ্ট লক্ষ্যে।
কোনভাবেই ঘুড়ে দাঁড়াতে পারছিলো না কিলিয়ান এমবাপ্পেরা। রিয়ালকে এতটা ম্রিয়মান সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি। ২৪ মিনিটে আশরাফ হাকিমে রাইট উইং দিয়ে ঢুকে বল বাড়িয়ে দেন রুইজের দিকে। বল জালে ফেলতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি ফাবিয়ান। তৃতীয় গোল খেয়ে একেবারে চুপসে যায় রিয়াল।
হতাশায় যেন পেয়ে বসে কোচ আলোনসর শিষ্যদের। দ্বিতীয়ার্ধে অগোছালো ফুটবলে সেভাবে আক্রমণে যেতে পারেনি তারা। এই সুযোগে খেলার ৮৭ মিনিটে গঞ্জালো রামোস গোল করে স্তব্ধ করে দেন ক্লাব বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল রিয়ালকে।
আগামী ১৪ই জুলাই রবিবার মেটলাইফ স্টেডিয়ামেই নিউ ইয়র্ক সময় বেলা ৩টায় ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসির মুখোমুখি হবে পিএসজি। এই টুর্নামেন্টের শিরোপা ঘরে তুলতে পারলে চলতি মৌসুমে পাঁচটি ট্রফি অর্জনের অনন্য মাইলফলক ছুঁতে পারবে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন।