পরবর্তী শুনানি বুধবারই হবে কিনা- তা নিশ্চিত করা যায়নি।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে সময়মতো ট্যাক্স পরিশোধ না করার দুই অভিযোগ ও আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত একটি অভিযোগ রয়েছে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে।
জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, তিনি আদালতে ট্যাক্সে অনিয়মের দায় স্বীকার করে নেবেন ও প্রবেশনের জন্য সম্মত হবেন। বিনিময়ে তিনি প্রি-ট্রায়াল ডাইভারশন অ্যাগ্রিমেন্টের অংশ হিসেবে কিছু শর্ত মেনে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাবেন।
প্রবেশন হিসেবে হান্টারকে ২৪ মাস মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে এবং তিনি আর কখনও আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবেন না। আর প্রবেশন মেনে নিলে ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেও তিনি কারাদণ্ড এড়াতে পারবেন।
হান্টার বাইডেনের লিগ্যাল টিম ও ফেডারেল প্রসিকিউটরদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে এই চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে। রিপাবলিকানরা এটিকে ‘সুইটহার্ট ডিল’ বলে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের ব্যাপক সমালোচনা করেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে নিয়োগ পাওয়া বিচারক ম্যারিয়েলেন নোরেইকা বুধবার আদালতে বলেছেন, চুক্তিটির ভাষা নিয়ে তার সংশয় আছে। এটি নিয়ে প্রসিকিউটরদের আলোচনায় বসার কথা বলেন তিনি।
তাদের উদ্দেশে নোরেইকা বলেন, ‘আমার মনে হয় চুক্তি নিয়ে আপনাদের আরেকটু আলোচনার জন্য বসানোটাই এখন যথাযত সিদ্ধান্ত হবে।’
এরপর হান্টারের স্বীকারোক্তি না নিয়েই তিনি আদালতের কার্যক্রমে বিরতির ঘোষণা করলে প্রসিকিউটররা চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন।
ওই চুক্তিতে বিচারক সই করলে তা বাস্তবায়ন হবে এবং দীর্ঘদিন ধরে চলা মামলারও নিষ্পত্তি হবে।
হান্টারের আইনজীবীরা এর আগে জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত চলাকালে সুদ ও জরিমানাসহ ফেডারেল ট্যাক্স বিল পুরোপুরি পরিশোধ করেছেন বাইডেনপুত্র। মামলা সংশ্লিষ্ট এক সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, হান্টারের মোট বিল ছিল প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার।
