
ভারত ও ব্রাজিলের ওপর উচ্চহারে শুল্কারোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৩১ ২০২৫, ১:৪০ হালনাগাদ: নভেম্বর ১১ ২০২৫, ৭:৩২
.jpg)
ছবিঃ ডনাল্ড ট্রাম্প
- 0
আগামী পহেলা অগাস্ট থেকে, ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর, ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আরো দুটি বাণিজ্যিক অংশীদার দেশের ওপর উচ্চ আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। দিনের শুরুতে ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, পহেলা অগাস্ট থেকে অ্যামেরিকায় ভারত থেকে আমদানির পণ্যের ওপর এখন ২৫% শুল্ক আরোপ করা হবে। এছাড়া, রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার কারণে ভারতকে জরিমানা করা হবে বলেও, উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
পোস্টে তিনি লিখেন- ভারত অ্যামেরিকার বন্ধু হলেও, তাদের উচ্চ শুল্কের কারণে অ্যামেরিকা সেখানে খুব কম পণ্য রপ্তানি করে। অথচ অ্যামেরিকায় দেশটির অনেক পণ্য আমদানি হয়। ভারতের আরোপিত শুল্ককে, বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ শুল্ক বলে উল্লেখ করেন তিনি। ট্রাম্প আরো অভিযোগ করেন, ভারত তাদের সামরিক সরঞ্জামের বিশাল একটি অংশ রাশিয়া থেকে কেনে এবং রাশিয়ার জ্বালানিরও অন্যতম বড় ক্রেতা তারা।
হোয়াইট হাউযের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন- ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট।
শেষ পর্যন্ত, ভারতের সঙ্গে ট্রাম্পের চাহিদা অনুযায়ী বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে, ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়- গত কয়েক মাস ধরে অ্যামেরিকার সঙ্গে একটি ন্যায্য, ভারসাম্যপূর্ণ এবং পারস্পরিক লাভজনক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনায় চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। সেই লক্ষ্য পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা।
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন- এটি ভারতের অর্থনীতির জন্য একটি দুসংবাদ, একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্যও একটি বড় রাজনৈতিক ধাক্বা।
একই দিন বিকালে হোয়াইট হাউয জানায়, ব্রাযিলের ওপর অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ কোরে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর ফলে দেশটির ওপর মোট শুল্কের পরিমাণ ৫০ শতাংশে দাঁড়ালো। এই পদক্ষেপের আইনি ভিত্তি হিসেবে ১৯৭৭ সালের একটি আইনের অধীনে দাবি করা হয়েছে, ব্রাযিলের নীতি এবং দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জেয়ার বলসোনারোর বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিচার একটি অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা তৈরি করেছে। গত ৯ জুলাই এক চিঠিতে ব্রাযিলের প্রেসিডেন্ট লুইয ইনাসিও লুলা ডি সিলভাকে, ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
ব্রাযিলের আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ইভান্ড্রো কারভালহোর বলেন- ট্রাম্পের নির্বিচারে শুল্কারোপ বিশ্ববাণিজ্যে অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে, যা দেশগুলোর বাণিজ্যিক সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে।
অন্যদিকে, সাউথ কোরিয়া অ্যামেরিকার সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হয়েছে বলে, ট্রুথ সোশ্যালে আরেক পোস্টে ঘোষণা দেন ট্রাম্প। অ্যামেরিকায় ৩৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে এবং ১০০ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি কিনতে সাউথ কোরিয়া সম্মত হয়েছে বলে, জানান তিনি। এই চুক্তি অনুযায়ী, দেশটির পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।