দিল্লির রোহিণীতে ছেলের জন্মদিনে পরিবারের দুই পক্ষের মধ্যে উপহার বিনিময় নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্ত্রী এবং শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক ব্যক্তি।
এনডিটিভি জানায়, শনিবার বিকেলে দিল্লির রোহিণীর সেক্টর-১৭-থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কর্মকর্তারা। সেখানে তারা ৬৩ বছর বয়সী কুসুম সিনহা এবং তার ৩৪ বয়সী মেয়ে প্রিয়া সেহগলের মৃতদেহ দেখতে পান।
পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ফোনকারী, কুসুমের ছেলে মেঘ সিনহা (৩০) পুলিশকে ঘটনার বর্ণনায় বলেন, ২৮শে আগস্ট তার মা প্রিয়ার বাড়িতে তার নাতি চিরাগের জন্মদিন উদযাপন করতে আসেন।
অনুষ্ঠান চলাকালীন, উপহার নিয়ে প্রিয়া এবং তার স্বামী যোগেশের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য কুসুম প্রিয়ার বাড়িতেই থেকে যান।
পরদিন প্রথমে প্রিয়ার ভাই তার মায়ের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে কল রিসিভ হয়নি। পরে তিনি প্রিয়ার বাড়িতে এসে দেখেন ফ্ল্যাট বাইরে থেকে তালাবদ্ধ এবং দরজার কাছে রক্তের দাগ রয়েছে। এরপর পরিবারকে খবর দিয়ে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকলে তারা রক্তাক্ত অবস্থায় মা ও বোনের মৃতদেহ দেখতে পান।
পুলিশ জানায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যার পর সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে যান ঘাতক স্বামী যোগেশ সেহগল।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যোগেশের রক্তমাখা পোশাক ও হত্যায় ব্যবহৃত কাঁচি উদ্ধার করেছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা, পারিবারিক ঝগড়ার কারণেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনাস্থলে ক্রাইম টিম ও ফরেনসিক দলের সদস্যরা গিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।
ইতোমধ্যে ঘাতক যোগেশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৭ বছর ধরে যোগেশ প্রিয়া বিবাহিত ছিলেন।