ফ্যামিলি এক্সপিডিটেড রিমুভাল ম্যানেজমেন্ট প্রসেস নামের এই প্রোগ্রামটি এমন প্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে যারা ইতোমধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক বা শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বেআইনিভাবে অ্যামেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। এসব অভিবাসীর পায়ের গোড়ালিতে জিপিএস ট্র্যাকার পরানো হবে। এছাড়া তারা অভিবাসন কেন্দ্র ছাড়া আর কোথাও যেতে পারবেন না।
যেসব আশ্রয়প্রার্থী পরিবারকে ফাস্ট-ট্র্যাক ডিপোরটেশন প্রক্রিয়ায় আবেদনের পরে এক্সপিডিটেড রিমুভাল (নিজ দেশে ফিরিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা) থাকবে, মূলত তাদের জন্যই এ প্রোগ্রামটি নেয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই নীতি বাস্তবায়নে অভিবাসী পরিবারগুলোকে পর্যবেক্ষণ করতে এবং যেকোনো সময় শনাক্ত করতে আইসিই-এর কাজ আরও সহজ হবে।আশ্রয়প্রার্থী পরিবার যদি ইউএস প্রোটেকশনের জন্য যোগ্য না হয় তবে তাদের আটক কেন্দ্রে রাখার প্রচলিত নিয়মের অনোসরণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
কর্তৃপক্ষ বুধবার জানিয়েছে, অভিবাসীদের কেউ ইউএস অ্যাসাইলাম অফিসারের নেয়া সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ না হলে আইসিই ৩০ দিনের ভেতর তাদের এক্সপিডিটেড রিমুভাল প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করবে। তাদের অ্যামেরিকা থেকে দ্রুত বের করে দেয়া হবে এবং পরবর্তী পাঁচ বছরের ভেতর ফের অ্যামেরিকায় ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ফৌজদারি মামালার মুখোমুখি করা হবে।
আইসিইর শীর্ষ কর্মকর্তা কোরে প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অভিবাসন প্রত্যাশী পরিবারদের চোরাকারবারিদের মিথ্যাচারে বিশ্বাস করা উচিৎ নয়।’
একজন আইসিই কর্মকর্তা সিবিএস নিউযকে জানান, বুধবার ঘোষিত উদ্যোগটি প্রাথমিকভাবে বাল্টিমোর, শিকাগো, নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনের কাছাকাছি অঞ্চলে আশ্রয়প্রার্থী অভিবাসী পরিবারের জন্য প্রযোজ্য হবে।
করোনা মহামারির সময়ে অ্যামেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে জারি করা টাইটেল ফোরটি টু বিধিনিষেধ ১১ মে তুলে দেয়া হবে। অভিবাসন প্রত্যাশীদের বৈধভাবে অ্যামেরিকায় প্রবেশ সহজ করতে বৃহত্তর পরিসরে বাইডেন প্রশাসন বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এই প্রোগ্রামটি তারই অংশ।
এই প্রোগ্রামে অ্যামেরিকা সীমান্তে অবৈধ ক্রসিং রোধ করতে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বৈধ আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাইডেন প্রশাসন। ধারণা করা হচ্ছে ক্রমবর্ধমান আবেদনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে নিষিদ্ধ অভিবাসীর সংখ্যাও।
ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প শাসনামলের নিয়ম পরিবর্তনের জন্য অভিবাসী আইনজীবীরা আদালতে চ্যালেঞ্জ করবেন।
কর্মকর্তারা প্রাপ্তবয়স্ক আশ্রয়প্রার্থীদের বর্ডার পেট্রোল সুবিধার আওতায় আনার পরিকল্পনা করছেন। এতে অ্যাসাইলাম অফিসাররা নির্ধারিত নিয়মে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠিয়ে দিবেন নাকি আদালতে বিচারকের কাছে তাদের আশ্রয় প্রার্থনার সুযোগ দেবেন তা ঠিক করে দেবেন।