তার মেডিক্যাল টিমের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানান, মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনের আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে।
ডা. জাহিদ বলেন, মেডিক্যাল বোর্ড পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা নিয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে।
৭৭ বছর বয়সী বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তিনি ছয় বার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন।
তার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লক থাকায় গত ১১ জুন একই হাসপাতালে সেটি অপসারণ করে স্টেন্ট বসানো হয়।
চিকিৎসকেরা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক পেয়েছেন, তবে স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে সেগুলো অপসারণ করা যায়নি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। এরপর খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।
খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না এই শর্তে করোনভাইরাস মহামারির সময়ে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে সরকার। একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।