এয়ার ইন্ডিয়া বুধবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, তাদের বোয়িং সেভেন সেভেন সেভেন ফ্লাইটটি মঙ্গলবার ২১৬ জন যাত্রী ও ১৬ জন ক্রু নিয়ে ভারতের নয়া দিল্লি থেকে অ্যামেরিকার স্যান ফ্রান্সিসকোর উদ্দেশে যাত্রা করে। ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়ায় সেটিকে রাশিয়ার মাগাদান বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়েছে।
অ্যামেরিকার তৈরি ২০০ মিলিয়ন ডলারের এই বিমানের ইঞ্জিন তৈরি করেছে অ্যামেরিকার জেনারেল ইলেক্ট্রিক। রাশিয়ায় বিমান তৈরির সরঞ্জাম রপ্তানিতে অ্যামেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা চলছে। এর মধ্যে সেদেশে কত দ্রুত ও কোন প্রক্রিয়ায় বিমানটি মেরামতের ব্যবস্থা করা যাবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই বিমানটি মেরামত করা প্রয়োজন। বিমানটি ঠিক করতে মেকানিকেরা এরইমধ্যে যাত্রা করেছে... আমি জানি না বিমানটি মেরামত করতে কত সময় লাগবে। তবে ভিন্ন একটি বিমানে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হবে।’
মাগাদান বিমানবন্দরের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার ইঞ্জিনিয়াররা বিমানের যন্ত্রাংশ নিয়ে একটি রিজার্ভ প্লেনে রাশিয়ায় নামবেন।
মাগাদান বিমানবন্দরে আটকে পড়া গগন নামের এক ভারতীয় যাত্রী এনডিটিভিকে বলেছেন, ফ্লাইটে অ্যামেরিকান যাত্রী ছিলেন বেশ কয়েকজন। তারা রাশিয়ার সঙ্গে অ্যামেরিকার চলমান উত্তেজনার কারণে বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন।
মাগাদান বিমানবন্দরে অস্থায়ী আবাসনের পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন কয়েক যাত্রী।
তারা বলছেন, পর্যাপ্ত খাবার ও পানি সরবারহ করা হয়নি। বিমানবন্দরের মেঝেতে গাদাগাদি করে ঘুমাতে দেখা গেছে অনেককে। মোবাইল ফোন চার্জ করার জন্য মাত্র একটি পোর্টের সংযোগ দেয়া হয়েছে।
যাত্রীদের ক্ষোভের মুখে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রাশিয়ায় তাদের পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় যাত্রীদের এমন অসুবিধা হচ্ছে। তবে ফেরি ফ্লাইটে তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার, পানি ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।
অ্যামেরিকা জানিয়েছে, তারা রাশিয়ায় আটকা পড়া অ্যামেরিকান নাগরিকদের পরিস্থিতির ওপর সবসময় নজর রাখছেন।
স্টেইট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল মঙ্গলবার বলেছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে অ্যামেরিকান নাগরিক ছিলেন, তবে তাদের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থির অগ্রগতির উপর নজর রাখছি।’