
বেতন পাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে কর্মীর ইস্তফা, পোস্ট ভাইরাল

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬ ২০২৫, ১১:৩১

এইচআর কর্মকর্তার পোস্টকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বড় বিতর্ক। ছবি: গালফ নিউজ
- 0
সকাল ১০টায় তার অ্যাকাউন্টে বেতন জমা হয় আর ১০টা ৫ মিনিটে তিনি ইমেইলে ইস্তফা দেন।
সম্প্রতি লিঙ্কডইনে ভারতীয় একজন এইচআর কর্মকর্তার পোস্টকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বড় বিতর্ক। কোম্পানির প্রতি কর্মীদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঐ কর্মকর্তা।
গালফ নিউজ জানায়, এইচআর কর্মকর্তা তার পোস্টে চমকপ্রদ এক ঘটনা শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, একজন নতুন কর্মী প্রথম বেতন পাওয়ার মাত্র ৫ মিনিট পরেই চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। সকাল ১০টায় তার অ্যাকাউন্টে বেতন জমা হয় আর ১০টা ৫ মিনিটে তিনি ইমেইলে ইস্তফা দেন।
এইচআর কর্মকর্তা প্রশ্ন তুলেছেন, এটি কতটা নৈতিক কাজ, কারণ কোম্পানি ওই কর্মীর যোগদান ও প্রশিক্ষণে অনেক খরচ ও সময় ব্যয় করেছিল।
ঐ কর্মকর্তা তার পোস্টে লেখেন, ‘এইচআর টিম তোমার ওপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিনিয়োগ করেছে। কোম্পানি তোমাকে স্বাগত জানিয়েছে, তোমার ওপর আস্থা রেখেছে এবং তোমাকে বেড়ে ওঠার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। এরপরেও তোমার প্রথম বেতন তোমার অ্যাকাউন্টে আসার পাঁচ মিনিট পরে তুমি চলে গেলে। এটা কি ন্যায্য? এটা কি নীতিগত?"
এইচআর কর্মকর্তা বলেছেন, যদি চাকরিতে থাকার ইচ্ছা না-ই থাকে, তবে আগে থেকেই জানানো উচিত ছিল বা অন্তত সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেওয়া উচিত ছিল। তার মতে, আসল ক্যারিয়ার গড়ে ওঠে শুধু বেতনের ওপর নয়, বরং নিষ্ঠা আর ধৈর্যের ওপর।
পোস্টটি খুব দ্রুত ভাইরাল হয় এবং এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই কর্মচারীর পক্ষ নিয়ে বলেন—যেকোনো সময় চাকরি ছাড়ার অধিকার কর্মীর আছে, বিশেষ করে যখন নিজের কাজের দায়িত্ব সে পূরণ করেছে।
একজন মন্তব্যকারী আবার বলেন, অনেক সময় কর্মীরা অভিযোগ জানাতে পারেন না বা অস্বস্তি বোধ করেন। তাই তারা বেতনের টাকা পেয়ে চুপচাপ সরে যাওয়াকেই নিরাপদ মনে করেন।
অনেকেই এইচআরের দিকে ছুঁড়ে দেন সমালোচনার তীর। বিষয়টি জনসমক্ষে প্রচার করার জন্য কর্মকর্তাকে অপেশাদার ও অপরিপক্ক হিসেবে অভিহিত করেন।
এই ধরনের অভ্যন্তরীণ কর্মক্ষেত্রের বিষয়গুলো কোনও পেশাদার নেটওয়ার্কিং সাইটে জানানো উচিত নয় বলেও মনে করেন অনেকে।
বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারী কর্পোরেট নিয়মের সমালোচনা করেন। অভিযোগ করেন, কোম্পানিগুলো প্রায়শই কোনও নোটিশ ছাড়াই কর্মীদের ছাঁটাই করে। কখনও কখনও তা মাসের মাঝামাঝি সময়ে। যার প্রেক্ষিতে কর্মচারীর দ্রুত ইস্তফাকে, কেউ কেউ নিয়োগকর্তারা প্রায়শই তাদের কর্মীদের সাথে কীভাবে আচরণ করেন তার প্রতিফলন হিসেবে দেখেছেন।
অনেক মন্তব্যকারীরা বলেন, বেতন হল ইতোমধ্যে সম্পন্ন কাজের জন্য পারিশ্রমিক। সেটি কোনো উপহার নয়। তাই, বেতন পাওয়ার পরে ইস্তফ দেয়া অনৈতিক কিছু নয়।