ইসরায়েলকে শাস্তি দেয়া অব্যাহত থাকবে বলে অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইরানে অ্যামেরিকার হামলার পর দেয়া প্রথম বিবৃতিতে খামেনি এ অঙ্গীকার করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে খামেনির এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আল–জাজিরা।
এক্স পোস্টে দেয়া খামেনির ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জায়নবাদী শত্রু বড় ভুল করেছে, বড় অপরাধ করেছে; এর শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে এবং তারা সেই শাস্তি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা শাস্তি পাচ্ছে।’
তবে খামেনি তার বিবৃতিতে অ্যামেরিকার লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের কথা উল্লেখ করেননি।
গত ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। পাল্টা হামলা শুরু করে ইরানও। তখন থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে নিজ বাসভবন ছেড়ে বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। নিরাপত্তার স্বার্থে সরাসরি যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বসছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। আল জাজিরা জানিয়েছে, হোয়াইট হাউযের ওভাল অফিসে সোমবার বিকেলে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
ইতোমধ্যে তেহরানের নীতি পরিবর্তন না হলে ইরানে শাসনকাঠামো বদলে ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প।
অ্যামেরিকার হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ইরান ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
এদিকে ইরান এখনো তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, অত্যন্ত সুরক্ষিত ফোরডো পারমাণবিক স্থাপনার তিনটি স্থানে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুটি বিশাল গর্ত।
বাংকার-বিধ্বংসী বোমার আঘাতে এমন গর্ত তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই পারমাণবিক চুল্লিকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য ওই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটিকে স্থাপন করা হয়েছিল।