অ্যামেরিকান রাজনীতিতে ঘনিষ্ঠ দুই মুখ, ডনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের মধ্যে এখন দূরত্ব ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট বিল’ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন ইলন মাস্ক, আর তাতেই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা—তাদের রাজনৈতিক রসায়নে কি ফাটল ধরেছে?
মাস্ক সামাজিক মাধ্যমে বলেন, ‘এই বাজেট জঘন্য, এতে বাজেট ঘাটতি ট্রিলিয়ন ডলার বাড়বে এবং সাধারণ মানুষের কষ্টও বাড়বে।” তিনি আরও বলেন, “যারা এই বিলকে সমর্থন করছেন, তাদের লজ্জা হওয়া উচিত।’
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত মাস্ক একসময় ‘ডৌজ’ নামের সরকারি ব্যয় কমানোর বিশেষ টিমের প্রধান ছিলেন। তখন তিনি ফেডারেল সংস্থাগুলোর ব্যয়ে বড় রকমের কাটছাঁটের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ওই টিম থেকে সরে দাঁড়ানোর পর থেকেই মাস্কের অবস্থানে বদল লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
হাউজ স্পিকার মাইক জনসন মাস্কের সমালোচনাকে “চরম ভুল” বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মাস্কের বাজেট সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই, আর তাঁর বিরোধিতা বিল পাশের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বলছেন, ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যে যে রসায়ন একসময় ছিল, তা এখন আর নেই। বরং বাজেট, ব্যয় এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নিয়ে দুই জনের অবস্থান এখন বিপরীত মেরুতে।
বিশ্লেষকদের মতে, মাস্ক এখন নিজেকে অনেকটা নিরপেক্ষ অবস্থানে রাখছেন এবং বাজেট খাতে যেসব বাড়তি ব্যয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে খোলামেলা বিরোধিতা করছেন। এটা ট্রাম্পের প্রশাসনিক পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা হতে পারে।