কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিনের ঘনিষ্ট সহযোগী গিলেইন ম্যাক্সওয়েলের সাথে ক’দিন আগে সাক্ষাৎ করেছেন, ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একান্ত আস্থাভাজন, টড ব্লাঞ্চ। এই বৈঠককে ঘিরে গুঞ্জন উঠে, সাধারণ ক্ষমার লোভ দেখিয়ে, ম্যাক্সওয়েলকে নিজে নিজেদের সুবিধামত সাক্ষ্য আদায় করবে ট্রাম্প প্রশাসন। এ গুঞ্জন আরো ডালপালা মেলে, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ম্যাক্সওয়েলকে ক্ষমা করার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না নিলেও, বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি।
প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতা ব্যবহার থেকে ম্যাক্সওয়েলকে ক্ষমা করার প্রক্রিয়া আগে থেকেই রুখে দিতে, শুক্রবার হাউযে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করতে চলেছেন, ইলিনয়ের কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি।
তিনি আশঙ্কা করছেন, ম্যাক্সওয়েলকে ক্ষমা করার মাধ্যমে এপস্টিনের বিষয়ে তথ্য গোপন করতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কংগ্রেসম্যান জোর দিয়ে বলেন, দেশের জনগণ চায় না এরকম অপরাধীকে ক্ষমা করা হোক।
অন্যদিকে, জেফ্রি এপস্টিন মার-আ-লাগো থেকে, ভার্জিনিয়া জিওফ্রেসহ আরো তরুণীদের চুরি করেছেন বলে সম্প্রতি এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। অশোভন আচরণের দায়ে এপস্টিনকে সেখান থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুর সাথে তার সম্পর্কের বিচ্ছেদ নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটর বেরেট বার্গার বলছেন, নথি প্রকাশের মাধ্যমে এসব প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি।
যদিও, এপস্টিন সম্পর্কিত নথি প্রকাশে অনীহার কারণে, ট্রাম্পের এ ধরনের মন্তব্য কেবল বিতর্ক বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন সমালোচকরা। কলোরাডোর ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান জেইসন ক্রো বলছেন, জেফ্রি এপস্টিন সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প।
সাবেক ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর ক্লেয়ার ম্যাককাস্কিল জোর দিয়ে বলছেন, ডেমোক্র্যাটদের উচিত রিপাবলিকানদের এপস্টিন ফাইলগুলো নিয়ে ভোট দিতে বাধ্য করা। তিনি মনে করেন, এপস্টিনের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত নথি প্রকাশের বিষয়ে কংগ্রেসে ভোটাভুটি হওয়া উচিত।