আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ মহাদেশ এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের বন্দি অভিবাসীদের সম্প্রতি কিউবার গুয়ানতানামো বে নৌ ঘাঁটির আটক কেন্দ্রগুলোতে স্থানান্তর করেছে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।
ফেডারেল সরকারের অভ্যন্তরীণ রেকর্ডের বরাতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে সিবিএস নিউজ।
অ্যামেরিকার ঘাঁটিটিতে এতদিন সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্তদের রাখা হতো। সিবিএস নিউজের হাতে আসা নথি অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের শুরুতে সেসব বন্দির পাশাপাশি চীন, জ্যামাইকা, লাইবেরিয়া ও যুক্তরাজ্যের বন্দিদেরও রাখা হচ্ছে গুয়ানতানামোর আটক কেন্দ্রে।
অ্যামেরিকার দুজন কর্মকর্তা সিবিএসকে জানান, গুয়ানতানামোতে থাকা বেশির ভাগ ব্যক্তিকে ‘উচ্চ ঝুঁকির’ বন্দি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাদের সহিংস বা অন্য মারাত্মক অপরাধের রেকর্ড থাকা ব্যক্তি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে।
বন্দি স্থানান্তরের বিষয়টি নিয়ে সিবিএস নিউজই প্রথম খবর প্রকাশ করে। এটি গুয়ানতানামোকে বিতাড়নের ঝুঁকিতে থাকা বিদেশিদের আটক কেন্দ্র করতে ট্রাম্প প্রশাসনের চেষ্টার উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণের ইঙ্গিত।
এর আগে চলতি বছর অপরাধের রেকর্ড থাকা ‘উচ্চ অগ্রাধিকারের’ বিদেশিদের গুয়ানতানামো বে আটক কেন্দ্রে রাখার আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সে সময় আটক কেন্দ্রটিতে থাকা বন্দিরা মূলত ছিলেন নিকারাগুয়া, ভেনেজুয়েলার মতো লাতিন অ্যামেরিকান দেশের। আনুষ্ঠানিক বিতাড়নের আগে তাদের সেখানে রাখা হতো।
এমন বাস্তবতায় আফ্রিকা, এশিয়া ও ইউরোপের বন্দিদের কিউবার ঘাঁটিটিতে রাখার সিদ্ধান্ত অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সিবিএস নিউজকে জানান, গুয়ানতানামো বেতে মঙ্গলবার ৫৪ জন অভিবাসী বন্দি ছিলেন।