পরিবারের কেউ আইসের ধরপাকড়ের শিকার হলে যা করবেন

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬ ২০২৫, ২১:২৩

আইসের হাতে আটক এক ব্যক্তি। ছবি: রয়টার্স

আইসের হাতে আটক এক ব্যক্তি। ছবি: রয়টার্স

  • 0

‘সেকেন্ডলি, কার উকিল আছে, সে উকিলের নাম্বার রাখেন বা এডিশনাল দুই একটা আপনার উকিল। দেখা গেল উকিলকেও সময় পাওয়া যাইতেছে না। আর কয়েকটা উকিলের নাম্বার আপনি রাখেন। ওকে।’

অ্যামেরিকায় আপনার পরিবারের কেউ ফেডারেল সংস্থা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইসের ধরপাকড়ের শিকার হলে, কী করবেন, সে সংক্রান্ত প্রশ্ন কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ এন. মজুমদারকে করেছেন টিবিএন অ্যানালাইসিসের সঞ্চালক রানা আহমেদ। আইন ও বাস্তবতার আলোকে উত্তর দিয়েছেন অতিথি।

টিবিএন: ধরুন যাকে গ্রেপ্তার করা হলো এই গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির পরিবার যারা আছেন, পরিবারের যে সদস্যরা আছেন, তারা অনেকেই জানে না যে, কোন কোন ডকুমেন্টটা তাদের প্রয়োজন বা কাকে কল করবে, কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন বা কাকে কল করবে যে, হটলাইন বা নন প্রফিট যে নেটওয়ার্কগুলো আছে, যেগুলো কীভাবে দ্রুত কার্যকর করে, এটা সম্পর্কে…

মজুমদার: রিসোর্স। অনেক সময় আমরা শুধু সমস্যার কথা বলি। সমাধানের কথা ভেরি ভেরি ইম্পরট্যান্ট। এখন থেকে যারা শুনতেছেন আমাদের ভিডিও, আপনাদের ভালনারেবল মেম্বার অফ দ্য সোসাইটি বা ভালনারেবল মেম্বার অফ দ্য ফ্যামিলি, অর্থাৎ আপনার সংকটাপন্ন কোনো মানুষ যদি থেকে থাকে আপনার ফ্যামিলিতে, তখন আপনি কী করবেন?

আপনার যে ইমিগ্রেশন ফাইলটা, এখন থেকে রেডি করে রাখেন। দরকার হলে এটা দুইটা কপি করে রাখেন।

কেস ফাইল করছিলেন, কে উকিল ছিল, কখন ফাইল করছিলেন, যদি না থেকে থাকে, সেটা রিকল করার জন্য ৬৩৯ যখন ফাইল করবেন, সরকার থেকে কপিটাও পাওয়া যায়।

সেকেন্ডলি, কার উকিল আছে, সে উকিলের নাম্বার রাখেন বা এডিশনাল দুই একটা আপনার উকিল। দেখা গেল উকিলকেও সময় পাওয়া যাইতেছে না। আর কয়েকটা উকিলের নাম্বার আপনি রাখেন। ওকে।

যদি দেখা গেল যে, না, আমি কোনো উকিলের সাথে ডিল করব না, সেটা হলো এভাবে, যখন একটা লোককে নিয়ে যাবে, ডিটেইনি লোকেটার বলা হয়।

জাস্ট গিয়ে ডিটেইনি লোকেটার বললে, সেখানে বলবেন, নেম, ডেট অফ বার্থ। তখন আপনার অথবা পাসপোর্ট নাম্বার যদি থাকে, এলিয়েন নাম্বার থাকে বা এলিয়েন নাম্বার দেখতে পারবেন, তখন আপনি যখন একটা লোককে অ্যারেস্ট করা হয়, উইদিন টোয়েন্টিফোর না, উইদিন টুয়েলভ আওয়ারের ভিতরে তাকে সিস্টেমে ঢুকিয়ে ফেলে।

সুতরাং আপনি পাবেন। বলবে যে, ওটা ওকলাহোমাতে আছে বা টেক্সাসে আছে।

ওই ডিটেশন সেন্টারে ফোন নাম্বার থাকবে। ওখান থেকে তাকে কল করতেও দিবে এবং আপনিও কল করতে পারবেন যদি আপনার কোনো উকিল না থাকে এবং নিজে নিজে করতে চান এবং সেখানে যদি রিপ্রেজেন্টেশন দিতে চান, দিতে পারবেন।

সেখানে ভিজিটিং আওয়ার আছে। ভিজিট করা যায়। আপনার টাকা-পয়সা দেওয়ার বিধান আছে। টাকা-পয়সা দিতে পারেন। সো মাচ রিসোর্স এভেইলেবেল।

বাট যদি কোনো কিছু না পান, সে ক্ষেত্রে বেস্ট হবে কম্পিউটার যদি না থাকে, পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে বা কারও কম্পিউটারে গিয়ে গুগল ক্রোমে, সেখানে লিখবেন ডিটেইনি লোকেটার। হিট এন্টার।

তখন রানা আহমেদ, মোহাম্মদ এন. মজুমদার। আবার ডেট অফ বার্থ দিবেন। পাসপোর্ট নাম্বার লাগবে না। নাম আর ডেট অফ বার্থ, কান্ট্রি অফ অরিজিন, বাংলাদেশ। তখন ওইটা আসবে।

টিবিএন: তাহলে আপনার কাছে আপনার এই প্রশ্নের উত্তরের প্রেক্ষিতে সবশেষ একটি প্রশ্ন যদি আপনাকে করি যে, সাধারণ দর্শক যারা আমাদের আছেন, হাজার, হাজার, লক্ষ লক্ষ দর্শক আমাদের আছেন, তাদেরকে তিনটা তাৎক্ষণিক টিপস দেবেন আপনি যে, যদি তাদের আশেপাশে এমন কোন রেইড তারা দেখে বা পরিবারের কেউ যদি আটক হন সে ক্ষেত্রে এই তিনটা টিপস আপনি দেবেন যেটা যেটা থেকে তারা এখান থেকে নিষ্কৃতি পেতে পারে বা অব্যাহতি পেতে পারে বা বিপদ এড়ায়ে চলতে পারেন।

মজুমদার: প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর। আপনি যাতে গ্রেপ্তার না হন, সেটাই চিন্তা করতে হবে প্রথমে।

গ্রেপ্তার না হওয়ার প্রথম বুদ্ধি হলো অ্যাগেইন, যদি আপনি মনে করেন যে, আপনি একজন লোক, যে যেকোনো সময় অ্যারেস্ট হলে আসবেন না, আপনার কোনো কেস নাই, সুতরাং আপনি অ্যাভয়েড করেন ওই ধরনের জায়গা, চলা, গতিবিধি যে, আপনি সংযত হইতে হবে এবং সে ব্যাপারে আপনি অ্যাটর্নির পরামর্শ নেন।

আবার যখন এরেস্ট হয়েই যান, তখন আপনি কিন্তু অ্যারেস্ট রেজিস্টিং করা, ফাইট করা ওই অফিসার কিন্তু আপনাকে ভায়োলেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করবে। সেখানে (সে ক্ষেত্রে) কিন্তু আবার ওখানে গিয়ে এক মাস যদি থাকেন, সেখানেও কষ্ট করবেন আপনি।

সুতরাং ধরা যখন পড়েই গেছেন, সেখানে ভেরি কোঅপারেটিভ করবেন। যখন অ্যারেস্টিং এজেন্ট বলা হয়, অ্যারেস্টিং অফিসার ভেরি কোঅপারেটিভ।

সো দ্যাট’স গুড অ্যান্ড দেন থার্ড টিপস হলো যখন অ্যারেস্ট হবেন এবং সাথে সাথে ওখানে আপনার অধিকার আছে কিন্তু যেখানে থাকেন, আপনাকে কল করতে দিবে, ফ্রি কল।

আপনার যিনি রিসিভ করবে, উনি ফেয়ার করবে। এটাকে বলা হয় কালেক্ট কল। কালেক্ট কল করে বলবেন যে, আমি অমুক জায়গাতে আছি। এটা আমার অফিসার। জিজ্ঞাসা করবেন যে আমার ডিটেইনি অফিসার কে?

ডিটেইনিরা একটা লোকের কাস্টডি থাকেন। হাসপাতালে যখন থাকেন, একটা ডাক্তারের অধীনে থাকেন। ডিটেনশন সেন্টার যখন থাকবেন, আপনার ডিটেইনি সুপারভাইজার থাকে, এজেন্ট।

উনার নামটা আপনার আত্মীয়স্বজনকে দিন বা লইয়ারকে দিবেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো বসে একটু রিওপেন বা কোনো কিছু হইতেও পারে।

যদি কোন কিছু রিওপেন করা যায়, দে ক্যান ট্রাই, বাট চান্স অনেক কম। এই তিনটা টিপস দিচ্ছি আমি।