থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে আসলে কী ঘটেছে? আদালতের দ্বারস্থ অভিনেতা

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮ ২০২৫, ৮:২৮ হালনাগাদ: নভেম্বর ৭ ২০২৫, ০:৪১

৭ ঘণ্টা পর সমাবেশে উপস্থিত হন বিজয়। ছবি: এনডিটিভি

৭ ঘণ্টা পর সমাবেশে উপস্থিত হন বিজয়। ছবি: এনডিটিভি

  • 0

তবে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর পর সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিজয়। সূত্র জানিয়েছে যে টিভিকে প্রধানের বাড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

ভারতের তামিলনাড়ুর জনপ্রিয় অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের রাজনীতিতে আসার ঘোষণায় দারুণ সাড়া পেয়েছিলেন। প্রথম সমাবেশে ১২ লাখ মানুষের সমাগম তাক লাগিয়েছে পুরো ভারত জুড়ে।

তবে গতকালের সমাবেশে যেন মুহূর্তেই সব অম্লান করে দিয়েছে বিজয়ের। দুর্ঘটনার দায় এড়াতে একে অপরকে দুষছে সরকার ও বিজয়ের দলটিভিকে।

তামিলনাড়ু সরকারের সূত্র জানিয়েছে, কারুরে তার সমাবেশে পদদলিত হয়ে ৩৯ জন নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার পর চেন্নাইয়ে অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বিজয়ের বাসভবনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

৫১ বছর বয়সী এই অভিনেতার দল টিভিকে আগামী বছর তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর পর সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিজয়। সূত্র জানিয়েছে যে টিভিকে প্রধানের বাড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র এনডিটিভিকে বলেছে, বিপুলসংখ্যক মানুষ একসঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন অচেতন হয়ে পড়েন। এতেই পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পুলিশের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তার মতে, সমাবেশস্থলে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। বিজয়ের এ কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত ছিল। এর আগে তিনি নামাক্কালে রাজনৈতিক সমাবেশ করেন। সেখানেই গতকালের এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি। তবে বিজয় প্রায় সাত ঘণ্টা দেরিতে সমাবেশস্থলে আসেন। ততক্ষণে ভিড় সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, ভিড় ক্রমে বাড়তে থাকে। প্রচণ্ড গরম আর ভিড়ে অনেকের দম বন্ধ হয়ে আসতে শুরু করে।

বিপুলসংখ্যক মানুষ থালাপতি বিজয়কে একনজর দেখার জন্য মঞ্চের ব্যারিকেডের দিকে এগিয়ে যান। ওই সময় দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়। লোকজন হুড়োহুড়ি করে সামনে যাওয়ার সময় অনেকেই অচেতন হয়ে পড়েন। তখন বিজয় তার বক্তৃতা থামিয়ে দেন। সহায়তার জন্য ভিড়ের দিকে পানির বোতল ছুড়ে দেন তিনি।

তবে অভিযোগ উঠেছে অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে সংবাদ সম্মেলনে তামিলনাড়ু পুলিশের মহাপরিচালক জি ভেঙ্কাটরামান বলেন, ‘আমরা সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিলাম। বিজয়ের দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর ঘণ্টাখানেক আগেই বিপুলসংখ্যক মানুষ সেখানে জড়ো হন।’

তিনি জানান, বিজয় সেখানে আসেন সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে। সমাবেশস্থলে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় থাকা মানুষের কাছে খাবার ও পানি ছিল না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কাউকে দোষ দিচ্ছি না। সমাবেশস্থলে আসলে এটাই ঘটেছিল।

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন এক বিবৃতিতে জানান, পদদলিত হয়ে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের প্রত্যেককে ১ লাখ রুপি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

বিজয়ের দল টিভিকে অভিযোগ করেছে যে গতকালের করুর সমাবেশে পদদলিত হওয়ার পিছনে ডিএমকে ষড়যন্ত্র রয়েছে, ভিকে-র আইনজীবী আরিভাঝাগান এনডিটিভিকে জানিয়েছেন যে দলটি মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছে যাতে আদালতকে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করতে অথবা মামলাটি কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়েছে।

করুর সমাবেশে নিরাপত্তা নির্দেশিকা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন আরিভাঝাগান।