
হঠাৎ স্বর্ণের দাম কমে যাওয়ার কারণ কী?

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯ ২০২৫, ১০:১৮ হালনাগাদ: নভেম্বর ১১ ২০২৫, ১৮:৪৮

বিশ্ব বাজারে কমছে স্বর্ণের দাম। ছবি: ইকোনমিক টাইমস
- 0
এদিকে স্বর্ণের পাশাপাশি কমেছে রুপার দামও।
ইতিহাসে সবোর্চ্চ দাম ওঠার পর হঠাৎ করে কমতে থাকে সোনার দাম। সোমবার আরেক দফা কমেছে দাম।
মূলত অ্যামেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা অগ্রগতি হওয়ায় নিরাপদ বিনিয়োগ (সেফ-হ্যাভেন) হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা কমে গেছে।
ব্লুমবার্গের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্পট গোল্ডের দাম ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি প্রায় ৪,০৫৩ ডলারে নেমে আসে, যা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম দাম। পরে সিঙ্গাপুরের বাজারে তা সামান্য বেড়ে ৪,০৮০ দশমিক ৪৭ ডলারে স্থিতিশীল হয়।
গত সপ্তাহে স্বর্ণের দাম ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছিল, যা ছিল আগস্টের পর প্রথমবারের মতো সাপ্তাহিক দরপতন।
এর আগে, বিশ্ব অর্থনীতি দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার কমাতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড আউন্সপ্রতি ৪,৩৮০ ডলারে পৌঁছায়।
দাম কিছুটা কমলেও ২০২৫ সালে এখনো স্বর্ণের দাম ৫৫% বেশি রয়েছে। এর পেছনে প্রধান কারণ হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ব্যাপক স্বর্ণ কেনা এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে “ডিবেসমেন্ট ট্রেড” বা মুদ্রার মানহ্রাস ও ঋণ ঝুঁকি এড়াতে স্বর্ণে বিনিয়োগের প্রবণতা।
বিশেষ করে, বর্ধিত বাজেট ঘাটতি ও ঋণ সংকটের আশঙ্কায় অনেকেই মুদ্রা ও সরকারি বন্ডের পরিবর্তে স্বর্ণকেই নিরাপদ বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে একটি বড় বাণিজ্য চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে এমন খবর ছড়িয়ে পরার পরেই বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করে।
এদিকে স্বর্ণের পাশাপাশি কমেছে রুপার দামও। ফেক্সস্ট্রিটের তথ্য মতে, সোমবার রূপার দাম ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ কমে ট্রয় আউন্স প্রতি ৪৭ দশমিক ৮৩ ডলারে নেমেছে, যা শুক্রবার ছিল ৪৮ দশমিক ৬০ ডলার।
তবে ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রূপার দাম বেড়েছে ৬৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, অর্থাৎ শতকরা হারে স্বর্ণের চেয়েও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোমবার গোল্ড/সিলভার রেশিও ছিল ৮৪ দশমিক ৪০, যা শুক্রবারের ৮৪ দশমিক ৬০ থেকে সামান্য কম।