
কী কী কারণে অ্যাসাইলাম কেইস খারিজ হচ্ছে?

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬ ২০২৫, ২২:১৬

আদালতের বিচারক, ন্যায়ের প্রতীক দাড়িপাল্লা ও ন্যায়দণ্ড। গ্রাফিক্স: টিবিএন
- 0
‘আমরা অলওয়েজ কেইস পাইতেছি লইয়ার্স রান অ্যাওয়ে, লইয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট এগুলাকো কপি করিয়া শুধু ফরমটা পাঠাই দিছে এবং ফরমের অর্ধেক অংশে তার নাম এবং অর্ধেক অংশে অন্যের নাম আছে।’
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে বাতিল করা হচ্ছে অনেকের অ্যাসাইলাম আবেদন। ঠিক কী কী কারণে অ্যাসাইলামের মামলা খারিজ করা হচ্ছে, সে সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তর টিবিএনকে দিয়েছেন মাস্টার অব লজ মোহাম্মদ এন. মজুমদার।
টিবিএন: ইমিগ্রেশন কোর্টের যেই বাস্তব অবস্থা, সেটায় এই অ্যাসাইলাম আবেদনগুলো কেন বাতিল হচ্ছে, সেই কারণগুলো যদি ব্যাখ্যা করেন এবং কী করলে এই অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ পেতে পারি? যারা আবেদন করেছি, সেই উপদেশগুলো নিশ্চয়ই আপনার দেওয়া উপদেশগুলো আমাদের যারা এই আবেদনে বা কেইস পেন্ডিং আছে, তাদের যথেষ্ট উপকারে আসবে।
মোহাম্মদ এন মজুমদার: থ্যাংক ইউ, রানা ভাই। চমৎকারভাবে যে আপনি তুলে ধরেছেন গণমানুষের দুর্দশা, ভীতি। একটা ত্রাসের যে সময় মানুষ অতিক্রম করছে, সেই চিত্রকে আপনার ভাষায় সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আমি ইমপ্রেসিভ হয়েছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তাহলে এভাবে শুরু করি, যেটা আপনি বলেছেন কী কী কারণে অ্যাসাইলাম কেইস ডিসমিস হচ্ছে। অর্থাৎ সামারিলি ডিসমিস। এটা আমি বলি এভাবে, এখানকার ট্রেডিশনাল বহু বছর আগের আইন হচ্ছে এ রকম, যদি কোনো মামলায় বা কোনো কেইসে, কোনো শুনানিতে আদালতের কাছে বা জাজের কাছে যে সমস্ত নথিপত্র বা ফাইল উপস্থাপন করা হয়, যদি আদালত মনে করে এখানে শুনানির মতো এমন কোনো যুক্তি, এমন কোনো ডকুমেন্ট, এমন কোনো কিছু নাই, সে ক্ষেত্রে জাজের এখতিয়ার বা ডিসক্রেশনারি পাওয়ার আছে টু ক্যানসেল অর থ্রো আউট দি কেইস, ডিসমিস দি কেইস আউটরাইট।
এখন ডিফারেন্সটা হচ্ছে ইতিপূর্বে যখন লিবারাল গভর্নমেন্ট বা নমনীয় গভর্নমেন্ট বা ডেমোক্রেটিক পার্টি, জো বাইডেনের শাসন বলেন, তখন কেস ডিনাই হওয়া মানুষ খুব বেশি আতঙ্কের বিষয় ছিল না।
ডিনাই হলে জাজ সাহেব সাধারণত বলত, উই আর ভেরি স্যরি দ্যাট আই রিভিউ অল অব ইউর পেপার ওয়ার্ক অ্যান্ড আই স্পোক টু ইউর অ্যাটর্নি। আনফরচুনেটলি ইউ ডো নট হ্যাভ এনাফ ডকুমেন্টস অর এনাফ এভিডেন্স ফর মি টু অ্যাপ্রুভ ইউর কেইস। দেয়ারফোর আই হ্যাভ অল দ্য ইনটেশন, অল মাই সিমপ্যাথি টু ইউ, বাট আনফরচুনেটলি আই উইল নট বি অ্যাবল টু গ্র্যান্ট ইউর অ্যাসাইলাম।
সো এটা বলে দিত অ্যান্ড হাউএভার, গেট অ্যা বেটার লইয়ার; ইউ হ্যাভ অ্যা রাইট টু অ্যাপিল। অর্থাৎ সুন্দরভাবে বলে দিত যে, তোমার কাগজপত্র যা দিয়েছো, এটা সন্তুষ্ট হইতে পারি নাই বলে আমি তোমাকে অ্যাসাইলাম গ্র্যান্ট করতে পারি নাই বলে দুঃখিত এবং লজ্জিত, তবে তুমি আপিল করতে পারো।
মানুষ অনেকটা হাসি মুখে বেরিয়ে আসত। বিআইএ-বোর্ড অব ইমিগ্রেশনে আপিল করত। সে আপিলে পাঁচ বছর, সাত বছর থাকত। অনেকে অ্যাপ্রুভ হইত বা ইতিমধ্যে মানুষ অন্য কোনো রিলিফ, বিবাহের মাধ্যমে বা অন্য কোনোভাবে কারও পারিবারিক ভিসায় সে লিগ্যালাইজ হইত। সেই ছিল পরিস্থিতি যুগের পর যুগ।
ট্রাম্প প্রশাসন আসার পর এখন অনেকগুলা নীতি, যেগুলো স্লিপিং, যে সমস্ত ল আছে এখানে বা ইতিপূর্বেও আছিল, এখনও আছে, যেগুলা বেশি কার্যকর করত না আদালত, সে সমস্ত লগুলা খুঁজে খুঁজে বের করে গণমানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে; যে সমস্ত স্থূল এবং স্থগিত ল ছিল, সাইলেন্ট ল ছিল।
যেমন: সামারিলি ডিসমিস, তাৎক্ষণিকভাবে ডিসমিস করে। তাকে তো আর কোনো সুযোগ নাই। তার ট্রায়ালেবল কেইস নাই। আপিলের সুযোগ না দিয়ে লোককে সেখানে ডিপোর্ট করতেছে। এই সংখ্যা কিন্তু খুবই কম।
এখানে আমরা আরেকটা জিনিস আজকে দুঃখের সাথে বলতে হয়, অনেকে এই অ্যাসাইলামকে এত হালকাভাবে নিয়েছে যে, আমার একটা জীবন-জীবিকা, একটা লাইফ যেটা আপনি বলছিলেন। অথচ মানুষ এভাবে সিরিয়াসলি নেয় নাই। দেখা গেল কেউ একটা লোক স্ট্রিট কর্নারে সে নিজে অ্যাসাইলি ছিল এবং তার ওই অ্যাসাইলামের গল্পকে সে কপি অ্যান্ড পেস্ট করে এখানে জমা দিছে এবং এআই টুলসের মাধ্যমে বর্তমানে তারা ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে ফাইন্ড আউট করছে যে, একই ল ফার্ম থেকে ২০০ কেইস ফাইল করা হয়েছে।
সব কেইস সেইম থিং, সেইম স্টোরি। সেইম এলডিপি অর সেইম বিএনপি অর সেইম আওয়ামী লীগ। সো এতে করে যা তারা এক্সপ্লেইন করে ফেলছে, দিস ইজ অ্যা টোটালি ফেইক স্টোরি। সো প্রত্যেকটা স্টোরি, প্রত্যেকটা মানুষের জীবন কাহিনী থাকতে হবে সতন্ত্র। পাঁচ জনের, ১০ জনের এক রকম হইতে পারে না।
আমরা অলওয়েজ কেইস পাইতেছি লইয়ার্স রান অ্যাওয়ে, লইয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট এগুলাকো কপি করিয়া শুধু ফরমটা পাঠাই দিছে এবং ফরমের অর্ধেক অংশে তার নাম এবং অর্ধেক অংশে অন্যের নাম আছে। কারণ ওই যে নামের ওপর কপি-পেস্ট করা হইছে। সেখানে কিছু কিছু ডিলিট করতে ভুলে গিয়েছিল।
এ ধরনের কেইসগুলার ক্ষেত্রে সিরিয়াস ইস্যু সৃষ্টি হইছে।