অ্যামেরিকায় অক্সিলারি পুলিশে যোগ দিয়ে পাবেন যে যে সুবিধা

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২ ২০২৫, ২০:৪৮

নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে অক্সিলারি হিসেবে কাজ করেন চার হাজার ব্যক্তি। ছবি: এনওয়াইপিডি

নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে অক্সিলারি হিসেবে কাজ করেন চার হাজার ব্যক্তি। ছবি: এনওয়াইপিডি

  • 0

নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট-এনওয়াইপিডিতে অক্সিলারি ক্যাপ্টেন হিসেবে কাজ করেন বাংলাদেশি সৈয়দ এনায়েত আলী। তার সঙ্গে কথা বলে এ ফোর্সে কাজের বিভিন্ন সুবিধার বিষয়টি জানতে পেরেছেন টিবিএন ভিউজের উপস্থাপক শান্তু বিশ্বাস।

অ্যামেরিকায় নিয়মিত পুলিশ বাহিনীর সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করেন অক্সিলারি পুলিশ বা ফোর্সের সদস্যরা। এটি একটি স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মসূচি, যার আওতায় বিপজ্জনক নয়, এমন কাজে স্থানীয় পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে সহায়তা করেন সহায়ক ব্যক্তি।

এ ফোর্সে যুক্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই প্রশিক্ষণ ও পোশাক পান, তবে পূর্ণাঙ্গ ও বেতনভোগী কর্মকর্তাদের মতো নয়।

অক্সিলারি পুলিশের সদস্যরা বেতনভুক্ত নন। এটি একটি কমিউনিটি সেবার সুযোগ। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের অভিজ্ঞতাও পাওয়া যায়।

নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট-এনওয়াইপিডিতে অক্সিলারি ক্যাপ্টেন হিসেবে কাজ করেন বাংলাদেশি সৈয়দ এনায়েত আলী। তার সঙ্গে কথা বলে এ ফোর্সে কাজের বিভিন্ন সুবিধার বিষয়টি জানতে পেরেছেন টিবিএন ভিউজের উপস্থাপক শান্তু বিশ্বাস।

টিবিএন: সত্যি করে আমাদের গর্বের বিষয় যে, আমাদের বাংলাদেশি একজন, আপনি দীর্ঘদিন এনওয়াইপিডির সঙ্গে এ অক্সিলিরি ফোর্সে যুক্ত আছেন। প্রথমে যেটা জানতে চাই যে, অনেকের প্রশ্ন যে, এই অক্সিলিরি ফোর্সটা আসলে কী? এটা কিভাবে আমাদের এই এনওয়াইপিডিকে হেল্প করে এবং কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের কাজ করে?

এনায়েত আলী: জি, ধন্যবাদ আপনাকে। এনওয়াইপিডি তো ওয়ার্ল্ডের ওয়ান অফ দ্য বেস্ট অর্গানাইজেশন্স। আমাদের প্রায় ৩৫ হাজার (নিয়মিত) পুলিশ ফোর্স আছে। আর আমরা চার হাজার যারা অক্সিলারি আছি আরকি…এনওয়াইপিডির আই অ্যান্ড ইয়ার (চোখ ও কান) বলা হয় আমাদের।

তাদের যেকোনো, আপনার ডিজ্যাস্টার বলেন, তারপর ধরেন আগুন লাগল একটা বাড়িতে, ওইটা কন্ট্রোল করা, ক্রাউড কন্ট্রোল করা। ইমারজেন্সি যেকোনো বিষয়ে আমরা তাদের পাশে থাকি। কারণ তাদের কাজ, রেগুলার পুলিশ অফিসারের কাজ আরও বেশি। তারা তো ইনভেস্টিগেশন করবে। তারা যেখানে অ্যারেস্ট করার দরকার, তারা ওখানে অ্যারেস্ট করতেছে। আমরা ওই জায়গাটা সিকিউর করি।

টিবিএন: তো সে ক্ষেত্রে আপনার মানে, অক্সিলিরি বলতে আপনারা সহায়ক; এনওয়াইপিডির সহায়ক। আপনি দীর্ঘদিন এটার সঙ্গে কাজ করছেন; ২২ বছরের ওপরে কাজ করছেন এবং পাশাপাশি আপনার অন্য ব্যবসা। এটাতে কাজ করতে গিয়ে কি আপনার অন্যগুলোতে কোনো হ্যাম্পার হয়?

এনায়েত আলী: আসলে আমি আমার ওয়াইফ বিলকিস ফাতেমা লাভলীর সহযোগিতা আছে দেখেই, মানে, আমি পার পেয়ে যাই। সে অনেক কিছু স্যাক্রিফাইস করে যে, আজকে কাজের ক্ষতি হইতেছে, সে লুকওভার করে। এটা পারিবারিক সহায়তা হয়তো অবশ্যই দরকার।

টিবিএন: আচ্ছা আমরা যেমনটা বলছিলাম যে এই অনুষ্ঠানে যে, অনেকেই, তরুণরা, মানে এই অক্সিলিরি ফোর্সে যদি কেউ জয়েন করে, তার কী কী বেনিফিট হতে পারে? বিশেষ করে অনেকের স্বপ্ন থাকে যে, ফেডারেল কোনো জবে যাবে। সে ক্ষেত্রে তার ব্যাকগ্রাউন্ড চেকে সহায়তা হয়। মানে কী কী, আপনি তো আরও ভালো বলতে পারবেন।

এনায়েত আলী: এটা একটা বিউটিফুল স্টেপ স্টুডেন্টদের জন্য। যেমন: কয়েকটা কলেজ আছে। তার মধ্যে একটা অন্যতম জন জে কলেজ। তারা আপনাকে, একটা অক্সিলারি মেম্বারকে ইজি থ্রি থেকে ফাইভ ক্রেডিট দিয়ে দেয়। তারপর আপনার ওখান থেকে আপনি যদি রেগুলার পুলিশে ঢুকতে চান বা অন্যান্য এনফোর্সমেন্টে ঢুকতে চান, খুবই ইজি স্টেপ।

টিবিএন: কেন আপনার কাছে মনে হলো এটা ইজি স্টেপ?

এনায়েত আলী: কারণ তারা অনেক কিছু শিখে ওখানে।

টিবিএন: তার মানে অলরেডি…

এনায়েত আলী: অলরেডি অলরেডি তারা জানে। বুঝতে পারছেন না? যার জন্য অন্য ডিপার্টমেন্ট জানে, এ তো অলরেডি ট্রেইন্ড। এ বুঝবে। সিস্টেমটা বুঝবে, ডিসিপ্লিনটা বুঝবে, স্টেপগুলা বুঝবে। এটা একটা নতুন অন্য ইয়ে… আসলে ওটা বুঝতে তার জন্য কষ্ট হবে।

টিবিএন: আসলে তো আমাদের, এই বিশেষ করে ইউএসএতে ব্যাকগ্রাউন্ড চেক একটা খুবই ফ্যাক্ট করে এবং যারা অলরেডি, আপনারা যারা, মানে অক্সিলারি ফোর্সে যাওয়া মানেই হচ্ছে আপনার কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ড অলরেডি চেক করা হয়ে গেছে। অনেকের ড্রিম থাকে রেগুলার এনওয়াইপিডিতে যাবে বা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কাজ করবে, কিন্তু দেখা গেল যে সেই স্তরে যাওয়াটা যে কঠিন হয়। প্রতিদ্বন্দিতার মধ্যে পড়তে…হয়তো একজন সাধারণ আবেদনকারী আর একজন অক্সিলিরি ফোর্সে আবেদনকারী। দুটোর মধ্যে আসলে কেমন পার্থক্য?

এনায়েত আলী: পার্থক্য হলো অলরেডি আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করবে। আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড যদি ক্লিয়ার না থাকে, আপনি ঢুকতে পারবেন না। কারণ অক্সিলারি হলো আপনার আন্ডার এনওয়াইপিডি। এনওয়াইপিডির ইয়ে হলো একটা লোককে আমি হায়ার করতেছি। সে আমার প্রিসিঙ্কটে আসতেছে।

আমি যখন ইউনিফর্ম পরে বাইরে যাব, আপনি বুঝতে পারবেন না যে কে রেগুলার পুলিশ অফিসার, কে অক্সিলারি অফিসার। একই হয়ে যাইতেছে। আমরা একই ছাদের নিচে কাজ করতেছি। আমার অফিটার রুম আলাদা, কিন্তু একই বিল্ডিংয়ে।

আমি ওয়ান পুলিশ প্লাজায় অবাধ যাইতে পারতেছি; আমার আইডি দেখায়া যাইতে পারতেছি, কিন্তু ওইটায় একটা রেগুলার লোক যাইতে পারবে না। কারণ তার তো ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা নাই।

আর এখনকার দিনে যে সিস্টেমটা হইছে, খুবই জরুরি আরকি আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করবে। যেমন: আইস। তারা চেক করবে। তাদের রাইট আছে। তারা চেক করতেছে। এই যে একটু আগে আমি একটা ইয়ে দেখলাম যে, আমাদের লেফটেন্যান্ট সুজাত খান ভাই, ডক্টর সুজাত বলি আমি। উনি একটা ইয়ে দিল, ইনফরমেশন দিল যে, উনারই এক নেইবারকে আইস স্টপ করে সবকিছু চেক করতেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড চেক, ইয়ে করতেছে।

যখন আপনি একটা অক্সিলিরি মেম্বার বা একটা পুলিশ অফিসার আপনি, আপনার তো ও সবকিছু আইডির মধ্যে আছে। আমার আইডি অক্সিলারি আইডি দেখলেই তো সে বুঝবে যে আমি কে। তারাও তাদেরও সময় নষ্ট করে নাই। ছেড়ে দিবে। বুঝতে পারছেন?

টিবিএন: তার মানে হচ্ছে অক্সিলারি ফোর্স আপনার ইমিগ্র্যান্ট কমিউনিটিকে সহায়তা করতে পারে। মানে কেউ যদি অক্সিলারি ফোর্সে থাকে তার বিভিন্ন ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসে সে সহায়তা পেতে পারে গভর্নমেন্ট থেকে। যেমনটা আমাদের প্রেসিডেন্ট এবার বলছেন যে আপনি যদি সিটিজেনশিপ চান, এখন নতুন নিয়মে আপনি ভালো কাজ কী করেছেনম সেটা প্রুভ করতে হচ্ছে। এখন নতুন একটা সিস্টেম যোগ করলেন। সে ক্ষেত্রে এই ধরনের ভলান্টারি সার্ভিসগুলা, বিশেষ করে যেখানে আপনি বলছেন এনওয়াইপিডি ওয়ান অব দ্য বেস্ট ফোর্স ওয়ার্ল্ডের মধ্যে। এটা যদি একটু ক্লিয়ার করতেন, আসলে কারা জয়েন করতে পারবে এবং কী ধরনের সহায়তা করে ইমিগ্রেশনে?

এনায়েত আলী: ধন্যবাদ। আগে অক্সিলারিতে ঢোকা যাইত, ভেরি ইজি ছিল। আপনার ওয়ার্ক পারমিট থাকলেই নিত। এখন কিন্তু আর নেয় না। তারপর আমি যখন ঢুকেছি, ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ঢুকেছি। তারপরে আস্তে আস্তে প্রসেসিংয়ের মধ্যে যখন ইমিগ্রেশনে গিয়েছি, ওরা আমার চেক করছে সমস্ত সার্টিফিকেট। অফিসার অফ দ্য ইয়ার, প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড, ওগুলা দেখে ওরা মানে আমার ওপর অলরেডি ওরা প্লিজড হয়ে গেছে। ওরা চেক করে।

তারপর নেক্সট যখন ইসে গেলাম, ইন্টারভিউতে আবার, তখন আমি যখন বলতে গেলাম, আমি এই করি। কয় উই নো ইউ। উই স (দেখেছি) ইউর ফাইল। এভরিথিং উই নো অ্যাবাউট ইউ। সো এইটা হলো ভালো আরকি। যারা এইভাবে ভুক্তভোগী আছেন, যারা আমাদের ইমিগ্র্যান্টরা আছেন, তাদের ছেলেরা বা মেয়েরা বা উনারা… অক্সিলারি কিন্তু ৫০/৬০ বছর ছাড়িয়ে গেলেও ঢুকতে পারে। এইজ তেমন একটা লিমিটেশন নাই। তো উনারা ঢুকলে ওই যে রেকর্ডটা থাকতেছে এবং ওটা ইমিগ্রেশনে যাচ্ছে, উনার তো সার্টিফিকেট থাকতেছে। উনার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করবে এনওয়াইপিডি।

সবকিছু থাকতে উনি সার্ভিস দিতেছে ফ্যামিলি লাইফ কাটঅপ করে। সে কমিউনিটি সেবা দিতেছে। ওটা একটা বিরাট সার্টিফিকেট। ওটাই চায় সিস্টেম। এটাই চায় জনগণ। এটাই চায় যে এ আমার সোসাইটির জন্য কী করতেছে।

টিবিএন: সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে এই দেশে আসলে ভলান্টারি সার্ভিসকে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়।

এনায়েত আলী: এই দেশটা তৈরি হয়েছে ভলান্টারি সার্ভিস থেকে। এনওয়াইপিডি অক্সিলারি ভলান্টারি সার্ভিস ওয়ান অফ দ্য বেস্ট সার্ভিস।

টিবিএন: তো সে ক্ষেত্রে আপনারা কি ইউনিফর্ম পরে ডিউটি করতে পারেন?

এনায়েত আলী: ইউনিফর্ম পরেই ডিউটি করি।

টিবিএন: তার মানে এটাও তো একটা বড় জিনিস। অনেকে ইউনিফর্ম জব চান। হয়তো কোন কারণে বয়স অথবা…

এনায়েত আলী: যেমন আমার বয়স হয়ে গেছে, কিন্তু আমি আর ওই রেগুলার পুলিশের… কিন্তু একই ইউনিফর্ম।

টিবিএন: বাট আপনি আপনার ড্রিমটা অন্যভাবে পূরণ করতেছেন। সেটা তরুণদের জন্য কিন্তু একটা প্লাস পয়েন্ট।

এনায়েত আলী: বিশেষ করে এখন যাদের বয়স আপনার পয়ত্রিশের নিচ পর্যন্ত আছে, তাদের ঢোকার সুযোগ আছে।

টিবিএন: প্রচুর কি লোক লাগে?

এনায়েত আলী: অবশ্যই লাগে। এখন আছে আমাদের প্রায় ৩৫ হাজার (নিয়মিত) মেম্বারস, কিন্তু আমি মনে করি এটা আমার পার্সোনাল অপিনিয়ন। নিউ ইয়র্ক সিটিটা হল বিরাট একটা সিটি। এখানে কমসে কম ৫০ হাজার দরকার।

টিবিএন: আচ্ছা। সে ক্ষেত্রে কী ক্রাইটেরিয়াগুলো লাগছে জয়েন করার জন্য? কী কী প্রয়োজন?

এনায়েত আলী: অক্সিলিরি পুলিশে আপনার ঢুকতে হলে হাই স্কুল পাস হলেই হয়। তারপর আপনি ইংলিশ পড়তে এবং বুঝতে পারেন কি না, লিখতে পারেন কি না, আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড ক্লিয়ার আছে কি না, আপনি সোসাইটিকে, মানে আপনার কমিউনিটিকে কতদূর সময় দিতে পারবেন। মিনিমাম একজন অক্সিলারি অফিসারের জন্য মান্থলি মাত্র ১২ ঘণ্টা। তাই মানে মানুষ চিন্তা করে…

প্রথমত আমরা চিন্তা করি আমি এ দেশে আসছি। বিনা পয়সায় কাজ করব? আমার ফ্রেন্ড সার্কেলরাও বলতো, এ পয়সা ছাড়া কেমনে করো? কিন্তু ইউ হ্যাভ টু ডু ইট উইথ ইউর হার্ট। পয়সা তো আমি কাজ করতেছি। আমি করবই।

টিবিএন: মাসে ১২ ঘন্টা তো এমন কোনো..

এনায়েত আলী: আমাদের জন্য বেশি। আমি যেমন অক্সিলারি ক্যাপ্টেন। আমাদের জন্য আলাদা। আমরা কিন্তু যারা রেগুলার জাস্ট নতুন অফিসার হইছে, তাদের জন্য ১২ ঘন্টা; মিনিমাম ১২ ঘণ্টা মাসে করতে হবে।

টিবিএন: সে যে বেনিফিটটা পাচ্ছে…

এনায়েত আলী: এগজ্যাক্টলি। যেটা আমি বলতেছি, অফ দ্য বুকে বলি যে, অনেক জায়গায় আরকি ওভারলুক করে, ছেড়ে দেয়। যেমন: এখন যদি আইস আমাকে থামায়, আমার আইডি দেখবে। দেখলে বুঝবে যে আমি একজন অক্সিলারি মেম্বার। অলরেডি রেসপেক্ট করবে। ছেড়ে দিবে।

শিল্ড ক্যারি করতে পারবে। একজন অক্সিলারি অফিসার অফ-ডিউটি হ্যান্ডকাফ ক্যারি করতে পারে। কোথাও যখন কোনো সিরিয়াস হয় এবং মনে হয় যে ওকে আমি হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে আমি রেগুলারদের ডাক দিব। সে কিন্তু হ্যান্ডকাফ লাগাইতে পারে ওখানে।

টিবিএন: তার মানে পুরো একেবারে এনওয়াইপিডি রেগুলারের মতো দায়িত্ব পালন করতে পারে? এনওয়াইপিডির যে জিনিসটা সবচেয়ে বড় ইম্পর্ট্যান্ট, যেটা আপনি বারবারই বলছেন, সেটা হচ্ছে যে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট।

এনায়েত আলী: ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্টের জন্য ইয়াং জেনারেশনের জন্য ভালো।

টিবিএন: মানে যেকোনো জবে যদি অ্যাপ্লাই করে থাকে এবং যদি তার ব্যাকগ্রাউন্ডে এ রকম প্রমাণ থাকে যে, উনি কয়েক বছর ধরে এনওয়াইপিডি অক্সিলারি করেছে…

এনায়েত আলী: আমি রিসেন্টলি একটা ছেলে, কামরুল ইসলাম…ও আমার অক্সিলারি ছিল। অনেক দিন ও ব্যাংকে জব করত। কখনও এয়ারপোর্টে জব করত…তো ওকে বললাম যে, তুমি অ্যাপ্লাই করো এনওয়াইপিডিতে। এনওয়াইপিডিতে করার পরে চান্স পেয়ে গেছে এবং ওর গ্রাজুয়েশনে আমি ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে গিয়েছিলাম। কারণ ওর বাবা নাই।

ওর আম্মা গেছিল, বোন গেছিল। কয়দিন পরে ও আমাকে বলল, আঙ্কেল আমি কি অ্যাপ্লাই করব কাস্টমসে? আমি কই করো।

ও ঠিকই করছে করে এবং ওখান থেকে সুইচ করতে তার অসুবিধা হয় নাই। সে কিন্তু এখন জেএফকেতে টার্মিনাল সেভেনে থাকে। সে কাস্টমস অফিসার।

টিবিএন: মানে খুব দ্রুত…

এনায়েত আলী: দ্রুত কারণ প্রমোশন। স্টেপটা কিন্তু ওই এনওয়াইপিডি অক্সিলারি, ওখান থেকেই শুরু হইছে। আপনি যদি প্রাথমিকভাবে ভাই পাস না করেন, আপনি ক্যামনে স্কুলে যাবেন? ক্যামনে কলেজে যাবেন? ক্যামনে আপনি ইউনিভার্সিটিতে যাবেন? এটাই হলো পাঠশালা। আপনার মক্তব বলেন, পাঠশালা বলেন, যাই বলেন। এটাই হলো প্রাথমিক স্টেপ।

টিবিএন: এইটা খুবই, মানে, আমরা সাধারণত অনেক বিষয় নিয়ে আমাদের ভিউ অনুষ্ঠানে আলোচনা করি, কিন্তু এইটা আমাদের কমিউনিটির জন্য অনেক উপকার হবে।

এনায়েত আলী: অবশ্যই। আমি বলব আমাদের নিউ জেনারেশনকে। নিউ জেনারেশন তারা করুক। তাদের ওই এক্সট্রা টাইমটা বাজেভাবে, মানে আমি বাজে বলি না, নষ্ট না করে তুমি মাসে দাও ১২ ঘণ্টা…তোমার ফিউচার তুমি গড়তেছো। তোমার রেজুমিতে ঢুকতেছে যে, ইউ আর পার্ট অফ এনওয়াইপিডি। হ্যাঁ, এটা ভালো; বাপ-মায়ের জন্য ভালো, তার জন্য ভালো, তার ফিউচারের জন্য ভালো।