মেয়র অ্যাডামস বলেন, ‘কর্মসংস্থান, হাউযিং অ্যান্ড পাবলিক অ্যাকোমোডেশনসহ সব ক্ষেত্রে আমাদের একই সুযোগ থাকা উচিত। আপনি কতটা লম্বা বা আপনার ওজন কত সেটা এখানে মুখ্য নয়।’
সিটি হল বিল সাইনিং সেরেমনিতে অ্যাডামসের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অন্য নির্বাচিত কর্মকর্তা এবং ফ্যাট-অ্যাকসেপ্টেন্স আইনজীবীরা।
মেয়র বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক নিউ ইয়র্কবাসীর জন্য একই সুযোগ তৈরি করতে চাই। আরও কর্মস্থল, বসবাসের উপযোগী পরিবেশের পাশাপাশি বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়তে চাই।’
তবে কোনো বিশেষ চাকরির ক্ষেত্রে এ আইনের ব্যতিক্রম থাকবে।
নিউ ইয়র্ক সিটি পার্টনারশিপের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ক্যাথি ওয়াইল্ড এক বিবৃতিতে বলেন ‘এই আইনের প্রভাব এবং ব্যয়ের পরিমাণ ভালোভাবে বিবেচনা করা হয়নি।’
সান ফ্রান্সিসকো, ওয়াশিংটন, ডিসি এবং ম্যাডিসন, উইসকনসিনসহ অ্যামেরিকার অন্য বেশ কয়েকটি শহর ওজন ও শারীরিক উচ্চতার উপর ভিত্তি করে বৈষম্য নিষিদ্ধ করেছে। নিউ জার্সি ও ম্যাসাচুসেটসের মতো স্টেইটগুলোতে ওজন ও উচ্চতা বৈষম্য নিষিদ্ধ করতে কার্যকর হয়েছে আইন।
ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন টু অ্যাডভান্স ফ্যাট অ্যাকসেপ্টেন্সের চেয়ার টাইগ্রেস অযবর্ন বলেন, নিউ ইয়র্ক সিটির ওজন বৈষম্যের নিষেধাজ্ঞা দেশ ও বিশ্বের জন্য একটি মডেল হিসেবে অনুসৃত হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘সিটির নতুন অধ্যাদেশ বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে এবং এটি প্রমাণ করবে, মানুষের শারীরিক গড়নের উপর ভিত্তি করে বৈষম্য করা ভুল এবং এটি আমরা চাইলেই পরিবর্তন করতে পারি।’
অধ্যাদেশটি আগামী ২২ নভেম্বর- ১৮০ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে।