রাজধানীর পল্লবীতে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এক সিএনজি চালককে হত্যার ঘটনায় চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই হওয়া সিএনজিটিও।
মিরপুর ১-এ র্যাব-৪ এর সদরদপ্তরে শুক্রবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুব।
তিনি জানান, গত ১৬ মে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার ৪ নম্বর গেটের পাশে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি আব্দুল অজিদ ওরফে বাচ্চু (৪৫), যিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক ছিলেন।
র্যাব জানায়, ঘটনার পর র্যাব-৪ এর গোয়েন্দা টিম ছায়াতদন্ত শুরু করে। তদন্তে উঠে আসে, ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। মূল পরিকল্পনাকারী মুসা, সৌরভ ও ইয়াছিন—তিনজনই পুরোনো বন্ধু এবং চুরি-ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। তারা ঢাকায় এসে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে।
গত ১৫ মে রাতে শ্যামলী এলাকা থেকে নিহত চালকের সিএনজি ভাড়া নেয় সৌরভ। এরপর আগারগাঁও থেকে ইয়াছিনকে তুলে ৬০ ফিট এলাকায় গিয়ে চালককে সিএনজি ঘোরানোর কথা বলে নামায় এবং পেছন থেকে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর মরদেহ মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায়।
পরদিন তারা ছিনতাই হওয়া সিএনজি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যায়। পরে চোরাই যানবাহন ব্যবসায়ী আল আমিনের সহযোগী শাহজালাল ও দুলালের মাধ্যমে ৪৫ হাজার টাকায় সিএনজিটি বিক্রি করে কুমিল্লার দেবিদ্বারে পাঠায়। সেখানে সিএনজিটির রং ও কাভার পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলছিল।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৪ এর যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ছিনতাই হওয়া সিএনজিটিও।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মো. সৌরভ সরকার (২০), মো. ইয়াছিন মিয়া (২০), মো. মুসা (২৫), মো. দুলাল মিয়া (৩২) ও মো. শাহজালাল (২৬)। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।