বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওয়াশিংটনে অ্যামেরিকান সেক্রেটারি অব স্টেইট অ্যান্টোনি ব্লিনকেন সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠক সম্পর্কে রোববার ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি তাদের (অ্যামেরিকা) বলেছি, অনুগ্রহ করে যত বেশিসংখ্যক সম্ভব নির্বাচন পর্যবেক্ষক এখানে পাঠান। আপনারা আপনাদের দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের আসার অনুমতি দেন না। তবে আমরা এর জন্য উন্মুক্ত (পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দিচ্ছি)।’
অ্যামেরিকান সেক্রেটারি অব স্টেইটের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যে কোনো মতপার্থক্য নেই, কারণ উভয় দেশই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়। তারা (অ্যামেরিকা) আমাদের বলেছে, (বাংলাদেশে) নির্বাচন আপনাদের (বাংলাদেশের) আইন অনুযায়ী হবে।’
মোমেন বলেন, ‘তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) বিষয়েও কথা বলেছে। বাংলাদেশের পক্ষ তাদের জানিয়েছে, ঢাকা বিষয়টি পরীক্ষা করছে। কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিএসএ প্রয়োগ সঠিকভাবে নাও হতে পারে।’
মোমেন বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। কোনো দুর্বলতা থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘ডিএসএ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করার জন্য নয়। আমরা বলেছি, আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছি, কিন্তু এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে রুখতে নয়। আওয়ামী লীগ সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।’
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে অ্যামেরিকান অ্যাম্বাসেডরের রোববারের বৈঠক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করে কোনো লাভ হবে না। এগুলো খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাদের তৃণমূল পর্যায়ে ভোটারদের কাছে যাওয়া উচিত। বিদেশিরা ভোট দেবে না, বরং বাংলাদেশের মানুষ তা করবে।’