প্রতিবেদন অনুযায়ী, গবেষণাকালে দেশটির মোট ৪ হাজার ৪২টি প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া ঘোষণার আবেদন করেছিল। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩২ শতাংশ বেশি।
দেশটির অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংখ্যা বাড়ায় এককভাবে দায়ী করোনা পরিস্থিতি। দেউলিয়াত্বের আবেদন করা বেশিরভাগ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ঋণ ১০ মিলিয়ন ইয়েন বা ৭০ হাজার ডলারের বেশি। করোনাকালে ব্যবসা সচল রাখতে ঋণ সহায়তা নিয়েছে কোম্পানিগুলো।
করোনা পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে বিভিন্ন কোম্পানি ঋণ শোধ শুরু করলেও অনেক কোম্পানিই অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়ে দেউলিয়া ঘোষণার আবেদন করে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা দায়ভার কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও শ্রমিকের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির ওপরও বর্তায়।
জরিপে অংশ নেয়া ১০টি শিল্পখাত এই বাড়তে থাকা কর্পোরেট বিপর্যয় প্রকাশ্যে এনেছে। এর মধ্যে সেবা খাতে দেউলিয়াত্ব সবচেয়ে বেশি। প্রায় ১ হাজার ৩৫১টি কোম্পানির দেউলিয়া হয়েছে। গত অর্থবছরের চেয়ে এই সংখ্যা বেড়েছে ৩৬.১ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নির্মাণ শিল্পখাত। এই খাতে ৭৮৫টি প্রতিষ্ঠানের দেউলিয়া আবেদন করেছে, যা গত অর্থবছরের চেয়ে বেড়েছে ৩৬.৩ শতাংশ।
তবে এই তালিকায় থাকা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ঋণ শোধ অব্যাহত রাখায় গত বছরের তুলনায় ঋণের পরিমাণ ৪৫.৩ শতাংশ কমে ৬.৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
জাপানের অর্থনীতি বিশ্লেষকরা এক সতর্ক বার্তায় বলেছেন, দেশটির দেউলিয়া হওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে যে সংস্থাগুলো মহামারীকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে করোনা পরবর্তী সময়ে এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, সেগুলো অচিরেই দেউলিয়ার আবেদন করবে।