
হতাহত ১৯
নারকীয় হামলায় রক্তাক্ত মিনিয়াপোলিস

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭ ২০২৫, ২২:০০ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৪ ২০২৫, ৮:২৭

অ্যানানসিয়েশন ক্যাথলিক স্কুলের গির্জায় বুধবার হামলার পর ঘটনাস্থলের কাছে পুলিশ সদস্যরা। ছবি: এপি
- 0
মিনিয়াপোলিস পুলিশের প্রধান ব্রায়ান ও’হারার তথ্য অনুযায়ী, নিজ বন্দুকের গুলিতে আহত হয়ে প্রাণ হারান বন্দুকধারী।
মিনিয়াপোলিসে বুধবার সকালটা আসতে পারত স্নিগ্ধতার পরশ হয়ে। অ্যানানসিয়েশন ক্যাথলিক স্কুলে গির্জায় প্রার্থনা সভা শুরুর সময়টাও হয়তো তেমনই ছিল, কিন্তু সারিবদ্ধ বেঞ্চিতে বসে শিশুরা যখন প্রার্থনার আবেশে, তখনই তাদের যমদূত হিসেবে আবির্ভূত হন এক বন্দুকধারী।
গির্জার জানালা দিয়ে তার ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারায় বেঞ্চিতে বসা আট ও ১০ বছরের দুই শিশু। মিনেসোটার বৃহত্তম শহরের বাসিন্দাদের হৃদয় রক্তাক্ত করা এ হামলায় আরও ১৭ জন আহত হয় বলে জানায় পুলিশ।
মিনিয়াপোলিস পুলিশের প্রধান ব্রায়ান ও’হারার বরাতে আইউইটনেস নিউজ জানায়, স্কুল শুরুর প্রথম সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত প্রার্থনা সভায় চালানো হয় নারকীয় এ হামলা।
এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গুলিতে আহত ১৭ জনের মধ্যে ১৪ জনই শিশু, যাদের বয়স ছয় থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। বাকি তিনজন গির্জার প্যারিশের অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তি, যার অশীতিপর।
ও’ হারা আরও জানান, আহত সবাই জীবিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
হামলাকারীর পরিণতি
মিনিয়াপোলিস পুলিশের প্রধান ব্রায়ান ও’হারার তথ্য অনুযায়ী, নিজ বন্দুকের গুলিতে আহত হয়ে প্রাণ হারান বন্দুকধারী।
ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-এফবিআই তাকে ২৩ বছর বয়সী রবিন ওয়েস্টম্যান হিসেবে শনাক্ত করে। যদিও তার জন্মের পরের নাম ছিল রবার্ট ওয়েস্টম্যান।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্য থেকে এবিসি নিউজ জানতে পেরেছে, ওয়েস্টম্যান একজন নারী, যার জন্ম ২০০২ সালের ১৭ জুন।
মিনেসোটার একটি জেলা আদালতে ২০০২ সালের ১৭ জুন জন্মগ্রহণ করা এক শিশুর নাম পরিবর্তনের আবেদন করা হয়েছিল। সে আবেদন মঞ্জুর হয় ২০২০ সালে।
আবেদনে রবার্ট ওয়েস্টম্যানের প্রথম অংশ পরিবর্তন করে রবিন ওয়েস্টম্যান করার দাবি জানানো হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, ছোট্ট শিশুটি মেয়ে হিসেবে নিজেকে পরিচিত করাতে চায় এবং নামের মধ্যে সে পরিচয়ের প্রতিফলন চায় সে।
হামলার সময়
সকাল সাড়ে আটটার ঠিক আগে বন্দুক হামলা শুরু হয়।
ও’ হারা জানান, ভবনটির এক পাশ দিয়ে হাজির হয়ে গির্জার জানালা দিয়ে শিশুসহ বেঞ্চে বসে প্রার্থনায় অংশগ্রহণকারী অন্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালান হামলাকারী।
পুলিশের এ কর্মকর্তার ভাষ্য, বেশ কিছু গুলি ছোড়েন বন্দুকধারী, যা ছিল নিষ্পাপ শিশু ও প্রার্থনারত অন্য লোকজনের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত সহিংস কর্মকাণ্ড।
স্কুলের ভাষ্য
অ্যানানসিয়েশন প্যারিশ অ্যান্ড স্কুল এক বিবৃতিতে জানায়, বন্দুক হামলার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে অমিত সাহসী কর্মীরা শিক্ষার্থীদের বেঞ্চের নিচে রাখতে সক্ষম হন। পরিস্থিতি নিরাপদ মনে হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে শিক্ষার্থী ও কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, হামলাকারী একই সঙ্গে রাইফেল, শটগান ও পিস্তল ব্যবহার করেছেন। তিনটি অস্ত্র দিয়েই গুলি করা হয়।
বাহিনীটির ভাষ্য, তিনটি অস্ত্রই সম্প্রতি বৈধভাবে কেনা।
ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে সম্ভাব্য স্মোক বোমও পাওয়া গেছে।