বোমারু বিমান সরিয়ে কি ইরানে হামলার ইঙ্গিত দিচ্ছে অ্যামেরিকা?

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২১ ২০২৫, ১৯:৪১

বি-২ বোমারু বিমান থেকে বোমা ছোড়ার মহড়া। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স

বি-২ বোমারু বিমান থেকে বোমা ছোড়ার মহড়া। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স

  • 0

এ বিমান সরানোর মধ্য দিয়ে অ্যামেরিকা ইরানে হামলার ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, তা নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন আল জাজিরার প্রতিবেদক অ্যালান ফিশার।

ইরানে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার মধ্যে এ যুদ্ধে অ্যামেরিকার জড়িয়ে পড়া নিয়ে বাড়ছে আলোচনা। এ আলোচনায় নতুন রসদ জুগিয়েছে রাডার ফাঁকি দেওয়া অ্যামেরিকার বি-২ বোমারু বিমান স্থানান্তরের খবর।

এ বিমান সরানোর মধ্য দিয়ে অ্যামেরিকা ইরানে হামলার ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, তা নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন আল জাজিরার প্রতিবেদক অ্যালান ফিশার।

এ প্রতিবেদক জানান, অ্যামেরিকার সামরিক সরঞ্জামের সাম্প্রতিক স্থানান্তর এবং সেগুলোর সম্ভাব্য বার্তা নিয়ে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছেন তিনি।

তার ভাষ্য, ইতোপূর্বে হওয়া আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিজৌরির ঘাঁটি থেকে দুটি বি-২ বোমারু বিমান স্থানান্তর করা হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যাত্রাপথে এসব বিমানে নতুন করে জ্বালানি নেওয়া হয়েছে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে।

বিমানের গন্তব্য

ফিশার জানান, বিমানগুলো অ্যামেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামে যেতে পারে। সেখান থেকে ৯ হাজার ৩০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ইরানে নেওয়া সম্ভব এগুলোকে। কারণ বোমারু বিমানের সঙ্গে থাকবে রিফুয়েলিং বিমান।

ট্যাংকার হিসেবে পরিচিত রিফুয়েলিং বিমানগুলো। এগুলো চলতি কোনো বিমানে জ্বালানি স্থানান্তর করতে পারে।

আল জাজিরার প্রতিবেদকের মতে, বোমারু বিমানগুলোর গন্তব্য ভিন্নও হতে পারে। এগুলো ভারত মহাসাগরে অ্যামেরিকার ডিয়েগো গার্সিয়া ঘাঁটিতে যেতে পারে। ঘাঁটিটি ইরানের অনেক কাছে।

বিমানগুলোর সামর্থ্য

বি-২ বোমারু বিমান ৩০ হাজার পাউন্ড বা প্রায় ১৩ হাজার ৬০৭ কেজি ওজনের বোমা বহন করতে পারে। ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রে সম্ভাব্য হামলায় অ্যামেরিকা এসব বাঙ্কার বাস্টার বোমা ব্যবহার করতে পারে বলে আলোচনা আছে।

বিমান স্থানান্তরের পরের সম্ভাব্য চিত্রগুলো

অ্যালান ফিশারকে ওই বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, বিমান স্থানান্তরের ফলে কয়েক ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এর একটি হতে পারে বিমানগুলোকে ডিয়েগো গার্সিয়া ঘাঁটিতে রাখা। এটি অস্বাভাবিক নয়। এর লক্ষ্য হবে হুমকি কিছুটা বাড়ানো।

বিশেষজ্ঞের মতে, ডিয়েগো গার্সিয়াকে বেছে নেওয়ার কারণ হতে পারে আরব দেশগুলোর অবস্থান। এসব দেশ চাইবে না যে, তাদের ভূমি থেকে ইরানে কোনো হামলা চালানো হোক। কারণ ঘাঁটি থেকে যেকোনো ধরনের হামলা আরব দেশগুলোকে ইসরায়েল-যুদ্ধে টেনে নিতে পারে।

বোমারু বিমানগুলো যেহেতু রিফুয়েলিং ট্যাংকার সঙ্গে নিয়ে এসেছে, সেহেতু এগুলোর জ্বালানি সংকট নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকবে না। ফলে এগুলো ব্যবহার করে ইরানের ওপর হামলা করতে পারে অ্যামেরিকা। যদিও এ আশঙ্কা খুবই সামান্য।

নিরাপত্তা বৈঠকে হতে পারে সিদ্ধান্ত

গলফ রিসোর্টে সফর সংক্ষিপ্ত করে ওয়াশিংটনে ফিরেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার রাতে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল বা জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার। রবিবার একই ধরনের আরেকটি বৈঠকের পরিকল্পনা আছে। এসব বৈঠকে অ্যামেরিকার কর্মকর্তারা পরিকল্পনা পর্যালোচনার পাশাপাশি তাদের হাতে থাকা বিকল্পগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।