শুক্রবার প্রাইম ভিডিওতে ছবিটি মুক্তির পর থেকে সিনেমা সমালোচক ও দর্শক সিনেমার কয়েকটি দৃশ্য ও সংলাপের সমালোচনা করেছেন। মুভিতে একটি গ্যাস চেম্বারের ভেতরে কিছু ফ্যান্টাসি দৃশ্য রয়েছে। সেখানে রূপক হিসেবে নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলার ও আউশভিটজ ডেথ ক্যাম্পকে ব্যবহার করা হয়েছে।
হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ভারুন ধাওয়ান ও জানভি কাপুর সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ফিল্মে দেখা যায়, সদ্য-বিবাহিত ভারুন-জানভি দম্পতি ইউরোপ ভ্রমণে যান।
ভারুনের চরিত্রটি একজন ইতিহাস শিক্ষকের, যিনি তার শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেখানোর জন্য ইনস্টাগ্রাম রিল তৈরি করেন। অন্যদিকে জানভি তাদের ব্যর্থ বিয়েকে বাঁচাতে শেষ চেষ্টা করে যান।
একটি দৃশ্যে মানুষের লোভকে বর্ণনা করার জন্য হিটলারকে রূপক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। জানভির চরিত্র ওই দৃশ্যে বলে ‘আমরা সবাই একটু হিটলারের মতো, তাই না?’ অন্য একটি উদাহরণে, তিনি বলেছেন প্রতিটি সম্পর্ক আউশভিটজের (নাৎসি জার্মানির বৃহত্তম কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প যেখানে প্রায় এক মিলিয়ন ইহুদি নিহত হন) মধ্য দিয়ে যায়।
সেখানে ডোরাকাটা পোশাক পরা দম্পতিকে একটি গ্যাস চেম্বারের ভেতরে রাখা হয় যেখানে বহু মানুষ চিৎকার করছেন ও শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।
ইহুদি মানবাধিকার সংস্থা সাইমন উইসেনথাল সেন্টার এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই সিনেমায় তারা বলেছে যে ‘প্রত্যেক সম্পর্ক আউশভিটজের মধ্য দিয়ে যায়’- পরিচালক নিতেশ তিওয়ারি হিটলারের গণহত্যামূলক শাসনের হাতে নির্যাতিত ছয় মিলিয়ন নিহত ইহুদি ও আরও লক্ষাধিক লোকের স্মৃতিকে তুচ্ছ এবং অবজ্ঞা করেছেন।”
রোমান্টিক এই ড্রামাতে হলোকাস্টকে যেভাবে চিত্রায়ন করা হয়েছে সেজন্য অনেকেই ছবিটির সমালোচনা করেছেন। তবে সিনেমাটির অভিনেতা ও পরিচালক এ সমালোচনাকে অযৌক্তিক বলেছেন।
পরিচালক নিতেশ তিওয়ারি বলেছিলেন, ফিল্মগুলোকে ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখা উচিত নয় কারণ তখন আপনি প্রতিটি কাজেই সমস্যা খুঁজে পাবেন।
ছবির প্রচারমূলক সফরের সময় এক সাক্ষাত্কারে ধাওয়ান বলেন, অনেকে হিন্দি ছবিতে ছোট ছোট জিনিসগুলোকে অপরাধ হিসেবে দেখে। এর মাধ্যমে ইংরেজি চলচ্চিত্রগুলোকে আরও বেশি প্রশ্রয় দেয়া হয়।