ইউএস নেভির ফিফথ ফ্লিটের মুখপাত্র কমোডোর টিম হকিন্স জানান, বৈধভাবেই ওই প্রণালী পাড়ি দিচ্ছিল অ্যামেরিকান তেলের ট্যাঙ্কারবাহী দুই নৌযান। সেগুলো জব্দের চেষ্টা করে ইরানি নৌযান।
তবে অ্যামেরিকান নেভি দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ায় সেগুলো পিছু হটে। নেভির তত্ত্বাবধানে ট্যাঙ্কারদুটি প্রণালী পাড়ি দেয়।
তিনি নিশ্চিত করেছেন, ট্যাঙ্কারের দিকে ছোড়া গুলিতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি, কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি।
ম্যারিটাইম ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস অ্যামব্রে অবশ্য বলছে, যে ট্যাঙ্কার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিল, সেটিতে বাহামাসের পতাকা টানানো ছিল। সেটি গ্রিক মালিকানাধীন নৌযান, পরিচালনা করছিল অ্যামেরিকা।
তারা জানিয়েছে, অপরিশোধিত তেলের ট্যাঙ্কার দুটি ইউনাইটেড আরব আমিরাত থেকে সিঙ্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল। ওমানের রাজধানী মাস্কটের উত্তর-পূর্বে ২৮ নটিক্যাল মাইল দূরে গুলির ঘটনাটি ঘটে।
এ বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য এখনও আসেনি।
পারসিয়ান গালফের এই সরু প্রণালী দিয়ে অ্যামেরিকার অপরিশোধিত তেলের ২০ শতাংশ পরিবহন করা হয়।
অ্যামেরিকান নৌবাহিনীর দাবি, ইরান গত দুই বছরে অন্তত পাঁচটি বাণিজ্যিক ট্যাঙ্কার জব্দ করেছে। বেশিরভাগই ঘটেছে এই হরমুজ প্রণালী ও এর আশপাশে।