কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার রাতে হিমাচল প্রদেশের সোলান জেলায় আকস্মিক প্রবল বৃষ্টিতে নয়জন মারা যান। এছাড়া রাজ্যটির রাজধানী সিমলায় দুটি জায়গায় ভূমিধস হয়। ধসে পড়া জায়গা থেকে আরও নয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া, রাজ্যটির হামিরপুর জেলায় ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে আরও চারজন মারা গেছেন।
অবিরাম বৃষ্টিতে সোলানের বাড়িঘর পানিতে ভেসে গেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। সিমলায় ভূমিধসে একটি মন্দির ধসে পড়েছে।
আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারের কাজ চলছে। আরও মরদেহ পাওয়া যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা। রাজ্যটির সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং ৭০০টিরও বেশি রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সোমবারে রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
প্রদেশের অনেককে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হিমালয় ও উত্তরাখণ্ডে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
হিমালয় অঞ্চলে ভারী বর্ষণ খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবহাওয়া চরম অবস্থায় পৌঁছালে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভারী বর্ষণ যখন হয় তখন প্রতি ঘণ্টায় ১০ বর্গকিলোমিটার এর মধ্যে ১০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। তখন সেসব অঞ্চলে তীব্র বন্যা ও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। আর এসব ভারতের পার্বত্য অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে।
জুলাইয়ে হিমাচল প্রদেশসহ উত্তর ভারতের কয়েক অঞ্চলে বৃষ্টিতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
গত বছরও উত্তরাখণ্ডে আকস্মিক বন্যায় প্রায় ২০০ মানুষ মারা যায়।