৫৩ বছর পর জানা গেল ‘ট্রাংক লেডি’র পরিচয়

টিবিএন ডেস্ক

মে ৩১ ২০২৩, ২৩:১৮

ট্রাংক লেডি হিসেবে পরিচিত সিলভিয়া জুন আথারটন। ছবি: সংগৃহীত

ট্রাংক লেডি হিসেবে পরিচিত সিলভিয়া জুন আথারটন। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

ফ্লোরিডার পিটার্সবার্গের একটি খেলার মাঠে ৫৩ বছর আগে ট্রাংকে ভরা এক নারীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তবে সেই নারী কে জানা গেল এতদিন পর।

সেই নারীর নাম সিলভিয়া জুন আথারটন । অ্যারিযোনার টুসনের বাসিন্দা আথারটন যখন খুন হন তখন তার বয়স ছিল ৪১ বছর। 

সেইন্ট পিটার্সবার্গ পুলিশ ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ মাইক কোভাকসেভ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি এমন একটি ঘটনা যা ডিপার্টমেন্টকে দীর্ঘদিন ধরে বিভ্রান্তিতে রেখেছিল। ঘটনাটি সব সময় ট্রাংক লেডি হিসেবে পরিচিতি পায়।’

আথারটনের মৃতদেহটি ১৯৬৯ সালের ৩১ অক্টোবর ট্রাংকের ভেতরে প্লাস্টিকে মোড়ানো অবস্থায় পিটার্সবার্গের একটি খেলার মাঠে পাওয়া যায়।

বছরের পর বছর ধরে গোয়েন্দারা ঘটনাটির পেছনে লেগে থেকেও তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তাকে ‘জেন ডোন’ হিসেবে স্থানীয় একটি সমাধিতে দাফন করা হয়।

মামলার তদন্তে ২০১০ সালে আথারটনের মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হলেও পরে কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে চলতি বছর হঠাৎ করেই গতি আসে তদন্তে। গোয়েন্দারা একটি চুলের নমুনা খুঁজে পান, যা আগে কখনও  পরীক্ষা করা হয়নি। 

তারা এই নমুনাটিকে একটি প্রাইভেট ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করেন। ল্যাবটি ডেটাবেইজের সঙ্গে ডিএনএ প্রোফাইলিং করে আথারটনের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। 

গোয়েন্দারা জানতে পারেন আথারটন ছিলেন পাঁচ সন্তানের জননী। 

মাইক কোভাকসেভ বলেন, ‘মৃত্যুর আগে আথারটন সন্তানদের সঙ্গে টাকসন ছেড়ে যান। এর মধ্যে দুই সন্তানকে শিকাগোতে তার সাবেক স্বামীর কাছে নিয়ে যান। এরপর তাকে আর তার সন্তানদের সঙ্গে দেখা যায়নি।’ 

আথারটন পরে আবার বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্বামী মারা যান ১৯৯৯ সালে। আথারটনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তার দ্বিতীয় স্বামী কখনই পুলিশকে কিছু জানাননি। 

আথারটনের হত্যাকারী সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই পুলিশের কাছে।

কোভাকসেভ বলেন, ‘আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এখানে কিছু অনুমান রয়েছে যেগুলো দিয়ে আমাদের শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে। তবে প্রধান দিকটি হলো ৫৩ বছর পর আমরা এখন তার (আথারটন) একটি নাম রয়েছে।’

আথারটনের মেয়ে সিলেন গেটস বলছেন, মায়ের পরিচয় উদ্ঘাটিত হওয়ায় তিনি ‘স্বস্তি’ অনুভব করছেন।

তিনি বলেন, ‘একটি দুঃখজনক স্বস্তি হলো পুলিশ অবশেষে তাকে খুঁজে পেয়েছে।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন