কিসিঞ্জারকে শি বলেন, ‘অ্যামেরিকা-চায়নার সম্পর্ক এখনও পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়নি। দুই পক্ষ চাইলে সেটি স্থিতিশীল করার মাধ্যমে সাফল্য ও সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে।’
বৈঠকে উভয় পক্ষ ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় আলোচনায় উপস্থিত থাকা চায়নার সিনিয়র কূটনীতিক ওয়াং ই ১৯৭০-এর দশকে চায়না-অ্যামেরিকার মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য কিসিঞ্জারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। সেইসঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি, তাইওয়ান ইস্যুতে অ্যামেরিকা কোনোভাবে চায়নাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না বলেও জানান ওয়াং।
এর আগে মঙ্গলবার চাইনিজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লি শাংফুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন কিসিঞ্জার। রাশিয়াকে অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলে শাংফু অ্যামেরিকা ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় রয়েছেন।
কিসিঞ্জার ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে কোল্ড ওয়ারের সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের অধীনে চায়নার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের সূচনা করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাইডেনের শীর্ষ জলবায়ু দূত জন কেরি, ইউএস সেক্রেটারি অফ স্টেইট অ্যান্টোনি ব্লিনকেন এবং ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন চায়না সফর করেন। এর পর পরই চায়না সফর করলেন সাবেক এই ইউএস সেক্রেটারি অফ স্টেইট।