কর্তৃপক্ষ বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে শনিবার ওই চার জন প্রেস্টনকে গুলি করে হত্যা করে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
অভিযুক্তরা হলো ১৯ বছর বয়সী জোসেফ ব্রুকস ও ট্রেভেল ব্রিল্যান্ড, ১৮ বছরের জ্যাকওয়ান বুকানন এবং ১৬ বছর বয়সী আরেক জন। ১৬ বছর বয়সী সন্দেহভাজন কিশোরকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিচার করা হবে বলে জানিয়েছে সিবিএস শিকাগো।
শিকাগো পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানায়, শনিবার রাত ১টা ৪০ মিনিটে ডাকাতির সময় প্রেস্টনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র ডাকাতি, চুরি, মোটর গাড়ি চুরি এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সিবিএস শিকাগোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ বছর বয়সী কিশোর তার এক বন্ধুর কাছে এ শ্যুটিং নিয়ে গর্ব করেছে। এক পর্যায়ে সেই বন্ধু সরাসরি পুলিশের কাছে গিয়ে সন্দেহভাজনকে কল করে। সেসময় গোয়েন্দারা অভিযুক্তের কথাগুলো শুনছিলেন।
স্টেইটের অ্যাসিস্টেন্ট অ্যাটর্নি অ্যান রজার্স ম্যাককর্ড বলেন ‘ফোন কলের সময় সেই কিশোর অবলীলায় ডাকাতি ও গুলি করার স্বীকারোক্তি দিয়েছে, তবে সেটি এখনও বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়নি।’
বিচারক ডেভিড কেলি বুধবার সন্দেহভাজন চার জনের জামিন না হওয়া শর্তে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করতে প্রসিকিউটরদের কাছে অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে।
বন্ড হিয়ারিংয়ের পর প্রেস্টনের মা ডিওন মুন জানান, এ ঘটনায় তিনি রাগ ও ক্ষোভে জর্জরিত।
এক বিবৃতিতে মেয়র লরি লাইটফুট পুলিশের প্রশংসা করে বলেন, ‘তাদের কারণে আমরা সংঘর্ষ থেকে রেহাই পাই। রাস্তায় অপরাধীরা অপরাধ করার সাহস পান না।’
কুক কাউন্টি প্রসিকিউটররা বলেন, শনিবার ভোরে শহরের সাউথ সাইডে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্দেহভাজনরা একটি গাড়িতে করে প্রেস্টনকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। এরপর ফিরে এসে বাড়ির সামনে প্রেস্টন দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তার মুখোমুখি হয়।
ওই আবাসিক এলাকার সিসিটিভি ফুটেযে দেখা যায়, তিন জন গাড়ি থেকে বের হয়ে ইউনিফর্ম পরা প্রেস্টনের দিকে তেড়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি মুখের ঝলকানি দৃশ্যমান হওয়ার আগে প্রেস্টন মাটিতে পড়ে যায়।
আদালতের নথিতে অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা গাড়িতে ফেরার সময় প্রেস্টনের বন্দুক হাতিয়ে নিতে আরেক জন পেছনে ফিরে যায়।
শ্যুটিংয়ের পর পুলিশের কাছে প্রথম ফোন কলটি শনিবার ১টা ৪২ মিনিটের দিকে এসেছিল। তবে ডিস্ট্রিক্টে একটি ব্যাকলগ সমস্যা থাকায় বুঝতে পায়নি পুলিশ। এরপর রাত ২ টার দিকে প্রেস্টনের অ্যাপল ওয়াচ থেকে নাইনওয়ানওয়ানে কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
ইন্টেরিম পুলিশ সুপার এরিক কার্টার বলেন, প্রেস্টনের মৃত্যু গোটা শহরের জন্য ট্র্যাজেডি।
প্রেস্টন যেখানে কর্মরত ছিলেন সেই ফিফথ ডিস্ট্রিক্টের কমান্ডার টাইরোন পেন্ডারভিস জানান, প্রেস্টন একজন উদীয়মান তারকা ছিলেন, যার মৃত্যু সবাইকে প্রভাবিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘তাকে সত্যিই মিস করতে হবে।’
বিভাগের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, প্রেস্টন তিন বছর ধরে পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কাজ করেছিলেন।