জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো অ্যামেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫। এতে ১৫টি ক্যাটাগরিতে ২৩ জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়।
নিউ ইয়র্কের কুইন্সের একটি হোটেলে এ আয়োজনে অংশ নেন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষ।
অনুষ্ঠানে রন্ধনশিল্পীদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখার প্রত্যয় জানান আয়োজকরা।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রন্ধন শিল্পে কাজ করেন হাজার হাজার বাংলাদেশি। বাংলা খাবারের স্বাদ ও বৈচিত্র্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন তারা। অসাধারণ অবদানের কারণে ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন দেশে নানা পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন তারা।
অ্যামেরিকার মাটিতে খলিল বিরিয়ানিও বেশ সুনাম অর্জন করেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রন্ধনশিল্পীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে এবং অন্যদের কাজের স্বীকৃতি দিতেই এ আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজনের বিষয়ে খলিল বিরিয়ানির স্বত্বাধিকারী খলিলুর রহমান বলেন, ‘পৃথিবীর সমস্ত দেশে যারা বাঙালিরা এ পেশায় আছে, বিশেষ করে কুলিনারি ইন্ডাস্ট্রিতে এবং হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে যারা ভালো করছে, তাদের সাথে একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং যোগসূত্র তৈরি করার মাধ্যমে যারা ভালো কাজ করছে তাদেরকে মূল্যায়ন করার লক্ষ্যেই কিন্তু আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডের আমরা আয়োজন করছি।’
আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডে উপস্থিত হয়ে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশি অ্যামেরিকান ও জর্জিয়ার স্টেট সেনেটর শেখ রহমান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমেরিকার বুকে ক্ষমতায়িত করতে এমন আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
শেখ রহমান আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন এথনিক ফুড খাওয়া পছন্দ করে দেশের লোকরা। আপনারা জানেন সবাই বাইরে খায়। এটা অবশ্যই আমাদেরকে, বাঙালি জাতিকে, বাংলাদেশকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
আমেরিকার কারি অ্যাওয়ার্ডে অংশগ্রহণ করেছেন প্রায় ১৭টি দেশের প্রতিযোগী। বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবার, গুণগত মানসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তাদের পুরস্কৃত করেন বিচারকরা।
বিচারক রাহিমা সুলতানা রিতা বলেন, ‘আমরা যেকোনো কাজের স্বীকৃতি চাই। এটা অনেক বড় একটা স্বীকৃতি বা তাদের পুরস্কৃত করে স্বীকৃতি দেওয়া। আর আমাদের হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রিতে এটা অনেক বড় ইমপ্যাক্ট রাখবে।’
যেকোনো পুরস্কার পাওয়া আনন্দের। আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত এক প্রতিযোগী।
নিজের ভালো লাগা প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি একটা হোম শেফ। আমি প্রফেশনালি খুব একটা (রান্না) করি না। সো প্রফেশনালরা জাজ করে যে আমাকে মনে করছে যে, আমি আমার ডেজার্ট এই লাইক যে, কোনো একটা পুরস্কার পাওয়ার মতো, আমি খুব প্রাউড ফিল করছি।’
অনুষ্ঠানে কমিউনিটিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সম্মাননা জানানো হয় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি অ্যামেরিকানকে। এতে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক আয়োজন।