অ্যামেরিকায় ভোক্তাদের আস্থা ৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮ ২০২৫, ১৮:১০ হালনাগাদ: নভেম্বর ১১ ২০২৫, ১৩:৪২

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নতুন শুল্ক হার ঘোষণার এক দিন পর ২০২৫ সালের ৩ এপ্রিল নিউ জার্সির সেককাসে ওয়ালমার্টের একটি সুপারসেন্টারে ক্রেতারা। ছবি: রয়টার্স

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নতুন শুল্ক হার ঘোষণার এক দিন পর ২০২৫ সালের ৩ এপ্রিল নিউ জার্সির সেককাসে ওয়ালমার্টের একটি সুপারসেন্টারে ক্রেতারা। ছবি: রয়টার্স

  • 0

এমন পরিস্থিতি বুধবার ফের সুদের হার কমাতে ফেডারেল রিজার্ভকে রসদ জোগাচ্ছে।

স্বল্প মেয়াদে চাকরিপ্রাপ্তি নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে চলতি অক্টোবর মাসে অ্যামেরিকার ভোক্তাদের আস্থা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমেছে।

এমন পরিস্থিতি বুধবার ফের সুদের হার কমাতে ফেডারেল রিজার্ভকে রসদ জোগাচ্ছে।

রয়টার্স জানায়, ভোক্তাদের আস্থা সংক্রান্ত জরিপটি পরিচালনা করে অলাভজনক সংস্থা দ্য কনফারেন্স বোর্ড। মঙ্গলবার এ জরিপে অর্থনীতিবিদরা যাকে কে-শেপড অর্থনীতি বলেছেন, সেই অর্থনীতির চিত্রের প্রতিফলন দেখা গেছে।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এমন বাস্তবতায় বার্ষিক ৭৫ হাজার ডলারের কম আয় করা ভোক্তাদের মধ্যে আস্থা কমেছে। বিপরীতে বার্ষিক দুই লাখ ডলারের বেশি উপার্জনকারী ভোক্তাদের আস্থা বাড়তে দেখা গেছে।

অর্থনীতিবিদদের যুক্তি, উচ্চ আয়ের পরিবারগুলো শক্তিশালী ভোক্তা ব্যয়ের মধ্য দিয়ে অর্থনীতিকে জিইয়ে রেখেছে।

তারা আরও বলছেন, আমদানীকৃত পণ্যের ওপর প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত বড় পরিসরের শুল্কসহ অন্যান্য কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো।

জরিপকারী সংস্থা দ্য কনফারেন্স বোর্ড জানায়, চলতি মাসের অর্থনীতির বর্ণনায় অংশগ্রহণকারীদের লিখিত মন্তব্যে দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি মূল বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে। বিপরীতে শুল্কের কথা উল্লেখ কমেছে।

কনফারেন্স বোর্ড আরও জানায়, চলতি মাসে তাদের ভোক্তা আস্থা সূচকের পতন হয়েছে ৯৪.৬, যা এপ্রিলের পর সবচেয়ে বেশি।

জরিপে আস্থার পতন বেশি দেখা গেছে ৩৫ বছরের কম বয়সী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে। বিপরীতে ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে আস্থার পতন অপেক্ষাকৃত কম হয়েছে। এ ছাড়া ৩৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সীদের মধ্যে আস্থার বৃদ্ধি দেখা গেছে।

দল নিরপেক্ষ ভোক্তাদের মধ্যে আস্থার উন্নতি দেখা গেছে, যেখানে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে এ জায়গায় নিম্নমুখিতা লক্ষ করা গেছে।