উগান্ডার স্কুলে হামলায় অন্তত ৪১ জন নিহত

টিবিএন ডেস্ক

জুন ১৭ ২০২৩, ১২:০০

উগান্ডার সামরিক বাহিনী অপহৃতদের উদ্ধারে কাজ করছে। ছবি: সংগৃহীত

উগান্ডার সামরিক বাহিনী অপহৃতদের উদ্ধারে কাজ করছে। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

কঙ্গো সীমান্তের কাছে এমপন্ডওয়ে লুবিরিহা সেকেন্ডারি স্কুলে সন্দেহভাজন বিদ্রোহীদের হামলায় ৩৮ শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। আহত আট জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। কঙ্গো সীমান্ত থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার (১.২ মাইল) দূরে উগান্ডার কাসেসে ডিসট্রিক্টে স্কুলটির অবস্থান।

এমপন্ডওয়ে লুবিরিহা অঞ্চলের মেয়র সেলভেস্ট মাপোজে জানান, বিদ্রোহীরা ছাত্রাবাসে আগুন দিলে কয়েক শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে পুড়ে যান। অন্যদের গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে স্কুলের শিক্ষার্থী, একজন গার্ড ও স্কুলের বাইরের দুজন ব্যক্তি আছেন।

উগান্ডার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে,বিদ্রোহীরা অন্তত ছয় জনকে অপহরণ করেছে।

উগান্ডার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার ফেলিক্স কুলাইগিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, অন্তত পাঁচ বিদ্রোহী এ হামলায় জড়িত ছিলন।

তিনি এক টুইটে বলেন, ‘আমাদের বাহিনী অপহৃতদের উদ্ধারে কাজ করছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের উদ্ধার করে এই গ্রুপটিকে ধ্বংসের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

উগান্ডার এলাইড ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এডিএফ) এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

এডিএফ উগান্ডার একটি চরমপন্থি গোষ্ঠী। এডিএফের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইস্টার্ন কঙ্গোর জনসাধারণের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োয়েরি মুসেভেনি শাসনের বিরোধিতা করছে এডিএফ। গ্রুপটি ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে উগান্ডার কিছু মুসলিমের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পর থেকেই উগান্ডার গ্রাম থেকে শহর সব জায়গায় হামলা চালাচ্ছে তারা। ১৯৯৮ সালে তারা এক হামলায় ৪০ জন ছাত্রকে হত্যা করেছিল। তখন থেকে গ্রুপটি ইসলামিক স্টেইটের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন