অ্যামেরিকান সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে ট্রাম্পের জোরালো পদক্ষেপ

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২০ ২০২৫, ৯:৩৬

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • 0

অ্যামেরিকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে সামরিক বাহিনীতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি এবং ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথ।

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর সফল আখ্যা দিয়ে ডিফেন্স সেক্রেটারি বলেন, কাতারে অবস্থিত অ্যামেরিকার এয়ার বেসে ট্রাম্পের উপস্থিতি দেশের স্বার্থে জীবন বাজি রাখা সেনাদের মনোবল চাঙা করেছে। বিশ্ব শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়ে ট্রাম্প তার দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছেন বলেও জানান হেগসেথ।

দেশের সংবিধান এবং প্রেসিডেন্টের আদেশ অনুযায়ী সামরিক বাহিনীর সামর্থ্যের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে জানিয়ে ডিফেন্স সেক্রেটারি বলেন, সামরিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করেই বর্তমান দুনিয়ায় আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গতি প্রকৃতি নির্ধারিত হবে। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত সামরিক প্রস্তুতির বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।

হেগসেথ বলেন, দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট’ নীতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিগত প্রশাসনগুলোর ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার দিশা দিয়েছেন ট্রাম্প।

‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট’ নীতিকে দূরে ঠেলে দেয়ায় ইরাক এবং আফগানিস্তান যুদ্ধে দেশের স্বার্থ রক্ষা হয় নি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভালো করেই জানেন অহেতুক সামরিক অভিযানের চেয়ে অসফল আর কিছুই হতে পারে না।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ড্রোনের উন্নয়নে চীনের কমিউনিস্ট সরকার যে পর্যায়ের মনোযোগ দিয়েছে তাতে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করছেন পিট হেগসেথ।

তিনি বলেন, চীনের সামরিক সক্ষমতা উদ্বেগ জানানোর মতো না হলেও দেশের সামরিক সক্ষমতাকে আরো সংহত করতে চায় পেন্টাগন।

পেন্টাগন বেইজিংয়ের সঙ্গে কোন ধরণের সাংঘর্ষিক অবস্থানে যেতে চায় না জানিয়ে হেগসেথ বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্টের ভালো সম্পর্ক এ ক্ষেত্রে বড় ভুমিকা রাখছে।

তবে যেকোন চীনের যেকোন হুমকি মোকাবেলায় পেন্টাগন প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।