![TBN24 Logo](/_next/image?url=https%3A%2F%2Fwww.tbn24.com%2Flogo.png&w=384&q=100)
৪০ বছর ধরে নিজের কাছেই পাঠাচ্ছেন পোস্টকার্ড
![TBN24 logo](/_next/image?url=https%3A%2F%2Fwww.tbn24.com%2Flogo-square.png&w=3840&q=100)
টিবিএন ডেস্ক
জুলাই ১৬ ২০২৩, ২৩:৫৮
![ডলানের সংগৃহীত পোস্টকার্ড। ছবি: সংগৃহীত](/_next/image?url=https%3A%2F%2Fportaladmin.tbn24.com%2Fuploads%2F20230716235753-5166-post-card.jpg&w=3840&q=100)
ডলানের সংগৃহীত পোস্টকার্ড। ছবি: সংগৃহীত
- 0
কানাডায় বেড়ে উঠা ডেব্রা ডলান নামে এক নারী ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজের কাছেই নিজে পোস্টকার্ড পাঠাচ্ছেন।
ডলান ১৯৭৯ সালে প্রথম তার বাবা মায়ের সঙ্গে ভ্যানকুভার ভ্রমণে যান। এর আগে তিনি কখনও এমন পাহাড়-সমুদ্র দেখেননি। তিনি মুগ্ধ হয়ে দেখেছেন ভ্যানকুভারের উঁচু স্কাইলাইন। বিস্মিত হয়েছিলেন ভ্যানকুভারের সৌন্দর্যে।
তিনি নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন। একজন ডায়েরি লেখক হয়েও প্রকৃতির সৌন্দর্যে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে সেই সৌন্দর্য ধরে রাখার অপার বাসনা তৈরি হয় মনে। তবে প্রকৃতির সৌন্দর্য ধারণ করে রাখার ক্যামেরাও ছিল না তার। আর উপায় হিসেবে বেছে নেন পোস্টকার্ড। প্রকৃতির বর্ণনা লিখে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন নিজের কাছে। সেই থেকে শুরু, যা চলছে এখনও।
ডলানের অনেক পেন ফ্রেন্ড ছিল, যাদের নিয়মিত লিখতেন তিনি। তবে সবচেয়ে বেশি উপভোগ করতেন নিজকে নিজের লেখা। সেখানে এক অন্যরকম অনুভূতি পেতেন তিনি।
ডলান যখন ছোট তখন কেবল বাবা মায়ের সঙ্গে ক্যানাডায় ক্যাম্পিং ট্রিপে যেতেন। তবে, ভ্যানকুভার থেকে ফেরার পরেই ডলানের মাথায় সলো ট্যুরের বিষয়টি গেঁথে যায়। ভাবলেন একা একা ঘুরে বেড়ানো খুব একটা মন্দ নয়। এরপর ধীরে ধীরে কর্মজীবনের চাপকে একপাশে রেখে দিয়ে সিদ্ধান্ত নেন বিশ্ব ভ্রমণে বের হবেন।
১৯৮০ এর দশকেও তিনি ভ্রমণের সময় ডায়েরি লিখতেন। সেই সঙ্গে নিজেকে পোস্ট কার্ড পাঠানোও চালিয়ে গেছেন।
সেই থেকে ৪০ বছর পার হয়ে গেছে, এখন নিজেকে পাঠাচ্ছেন পোস্ট কার্ড। এই ৪০ বছরে নিজের কাছে পাঠিয়েছেন কয়েক শ’ পোস্ট কার্ড। তিনি ভ্রমণের সময় কোনো ক্যামেরা নেন না। এমনকি স্মার্টফোনটিও বাড়িতে রেখে যান। পোস্টকার্ডে লিখে ফেলেন নিজের অনুভূতি।
![](https://portaladmin.tbn24.com/uploads/20230716235508-9381-post-card-2.jpg)
ডলানের এখন এখন ৬৪ বছর। ভ্যানকুভারে বসবাস করেন। যে শহরটি তাকে প্রথম ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসা জাগিয়েছিল সেই শহরেই তিনি জীবন কাটাচ্ছেন। কর্মজীবনও সেখানেই কাটিয়েছেন তিনি।