তবে ব্যাংক কয়েনগুলো নিতে রাজি না হওয়ায় বেশ বিপাকেই পড়েছেন রেয়েস ও তার স্ত্রী এলিজাবেথ রেয়েস। ঘরের কোণে স্তূপ করে রাখতে হয়েছে ব্যাগগুলো।
ঘটনাটি ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের পিকো ইউনিয়নের আবাসিক এলাকার। সেখানে রেয়েসের শ্বশুরের বাড়ি। সেটি ১৯০০ দশকের গোড়ার দিকে তৈরি। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী রেয়েস ও তার স্ত্রী কয়েক মাস আগে গিয়ে বাড়িটি পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেন।
রেয়েস জানান, বেজমেন্ট পরিষ্কারের সময় একটি নিচু জায়গায় বেশ কিছু কয়েন পড়ে থাকতে দেখেন। সেগুলো কাগজে মুড়িয়ে রাখা ছিল। কোনোভাবে খুলে ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর সেখানে কয়েনভর্তি অনেকগুলো ব্যাগ দেখতে পান। ব্যাগগুলোর ওপর কিছু ব্যাংকের নাম লেখা ছিল।
রেয়েস বলেন, ‘যেসব নাম লেখা ছিল, তার মধ্যে অনেকগুলো ব্যাংকের এখন আর অস্তিত্ব নেই… আমি ও আমার স্ত্রী মিলে একটা একটা করে ব্যাগ টেনে বেজমেন্ট থেকে বের করেছি। সারা দিন পার হয়ে যায় সেগুলো সরাতেই।’
কয়েনগুলো পরীক্ষা করে রেয়েস দেখেন, সেগুলো কপারের তৈরি ও ১৯৪৩ সালের সময়কার। গুনে দেখেন, মোট ১ মিলিয়ন কয়েন রয়েছে।
রেয়েস কয়েনগুলো ক্যাশ করার জন্য বেশ কয়েকটি ব্যাংকে কথা বললেও কেউ নিতে রাজি হয়নি। স্থানীয় ওয়েল ফারগো ব্যাংকের শাখায় গেলে ম্যানেজার তাকে জানান, ভল্টে এত কয়েন রাখার জায়গা নেই।
এরপর এক ব্যাংকারের পরামর্শে এই দম্পতি আপাতত কয়েনগুলো ক্যাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা এখন অফারআপ নামের একটি ওয়েবসাইটে কয়েনগুলো বিক্রির জন্য তুলবেন ও ২৫ হাজার ডলার হাঁকবেন বলে ভেবেছেন।
বিক্রি হলে ওই অর্থ দিয়ে বাড়িটি সংস্কার করবেন বলে জানালেন রেয়েস।