নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।
সিডন্স পোস্টে বলেন, ‘সংক্ষিপ্ত বিরতির পর ঢাকায় ফিরেছি। জাতীয় দলের সঙ্গে আমি আর কাজ করব না। কারণ আমার মনে হয় আগামী প্রজন্মের খেলোয়াড়দের ভালভাবে দেখাশোনা ও দেশের হয়ে খেলতে পরবর্তী সুযোগের জন্য তাদের উন্নতি নিশ্চিত করাটাই বিসিবির জন্য সেরা আমার প্রতিদান হবে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে স্পষ্ট করেছেন সিডন্স।
তিনি লিখেছেন, ‘তরুণ ক্রিকেটারদের স্কিল নিয়ে কোচিং করাতে আমি ভালবাসি এবং বিসিবিও এটা চায়। এজন্যই সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছি। জাতীয় দলে কাজ করলে খ্যাতি বেশি এবং আমি সেটিও পছন্দ করি। তবে স্কিল গড়ে তোলা, উন্নতি এবং অনুশীলন হয় নেটে। মিরপুরের নেটে প্রচণ্ড গরমে ঘাম ঝরিয়ে ‘এ’ দল ও টাইগার্সের হয়ে ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে আছি।’
ব্যাটিং কোচ হিসেবে দ্বিতীয়বার বিসিবিতে যোগ দেন সিডন্স। এর আগে ২০০৭-২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। প্রথম মেয়াদে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিমকে ব্যাটিং জিনিয়াস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাকে কৃতিত্ব দেয়া হয়।
তার অধীনে এই চার জন নিজেদের দক্ষতাকে ফুটিয়ে তোলে এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নিজেদের যুক্ত করে। নিজেদের ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এখন তারা। এ কারণে তাদের জায়গায় বাংলাদেশের কিছু দক্ষ ব্যাটার প্রয়োজনের তাগিদে দ্বিতীয় মেয়াদে ব্যাটিং কোচ হিসেবে সিডন্সকে ফিরিয়ে আনে বিসিবি।