নির্বাচন পর্যবেক্ষণ উন্মুক্ত করায় শেখ হাসিনার প্রশংসায় অ্যামেরিকা

বাসস

মে ৪ ২০২৩, ১৭:২৪

ওয়াশিংটনে বৈঠকে অ্যামেরিকার আন্ডার সেক্রেটারি অফ স্টেইট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসেডর ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড ও  বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। ছবি: বাসস

ওয়াশিংটনে বৈঠকে অ্যামেরিকার আন্ডার সেক্রেটারি অফ স্টেইট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসেডর ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। ছবি: বাসস

  • 0

অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণের পথ উন্মুক্ত করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেছে অ্যামেরিকা।

ওয়াশিংটন ডিসিতে নবম বাংলাদেশ-অ্যামেরিকা অংশীদারত্ব সংলাপ চলাকালে এ বিষয়ে আলোচনা হয় দুদেশের প্রতিনিধিদের। অ্যামেরিকার পররাষ্ট্র দফতরে বুধবার এই সংলাপ হয়।

এতে পারস্পরিক স্বার্থের গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং অ্যামেরিকার আন্ডার সেক্রেটারি অফ স্টেইট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসেডর ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

এসময় নুল্যান্ডকে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সব নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করায় নির্বাচন কমিশনের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে জানান মোমেন।

তিনি বাংলাদেশের সম্প্রতি প্রকাশিত ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা নিয়েও কথা বলেছেন। রাষ্ট্রদূত নুল্যান্ড নিজ নিজ ইন্দো-প্যাসিফিক নথিতে দুই দেশের মধ্যে অভিন্নতার ক্ষেত্র উল্লেখ করেছেন।

নুল্যান্ডের সঙ্গে আলাপকালে মোমেন র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে হস্তান্তরের জন্য ফের আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত নুল্যান্ড মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আতিথেয়তায় বাংলাদেশের অসাধারণ উদারতার প্রশংসা করেন এবং অ্যামেরিকার অব্যাহত মানবিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

পররাষ্ট্র সচিব মোমেন আগামী বছর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠেয় অংশীদারত্ব সংলাপের দশম রাউন্ডে আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানান।

বৈঠকে ছিলেন অ্যামেরিকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান, বাংলাদেশে নিযুক্ত অ্যামেরিকান রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড লু এবং অ্যামেরিকার পররাষ্ট্র দফতর, হোয়াইট হাউয এবং ইউএসএআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন