নেচার পত্রিকায় ১৪ জুন প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, জার্মানির ফ্রেই উনিভার্সিটাট বার্লিনের একদল বিজ্ঞানী নাসার ক্যাসিনি স্পেস মিশনের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে, এনসেলাডেসের বরফে ঢাকা সমুদ্র থেকে নির্গত ধারায় ফসফেট থাকার প্রমাণ পেয়েছেন।
ফসফেট অবস্থায় বিদ্যমান থাকা ফসফরাস পৃথিবীতে প্রাণ গঠনের জন্য অপরিহার্য। ডিএনএর মূল উপাদান এটি। একইসঙ্গে হাড় ও কোষপ্রাচীরের অন্যতম উপাদান। নেচারের ওই নিবন্ধে আরও বলা হয় বহির্জাগতিক সমুদ্রে ফসফরাস থাকায় এটাই প্রথম অকাট্য প্রমাণ।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন পৃথিবীর সমুদ্রগুলোর চেয়ে এনসেলাডেসের সমুদ্রে ১০০ থেকে ১০০ হাজার গুণ বেশি ফসফেট আছে।
ফ্রেই উনিভার্সিটাটের গবেষক দলের সদস্য ফাবিয়ান ক্লেনার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সাধারণত বহির্জাগতিক গ্রহ বা স্যাটেলাইটগুলো বাসযোগ্য কিনা তা প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে জরুরি মৌলগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত ফসফেট। যা এনসিলাডেসের সমুদ্রে অতি উচ্চমাত্রায় থাকার প্রমাণ পেয়েছি আমরা।’
গত ২৫ বছরে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন বরফে ঢাকা সমুদ্রের উপস্থিতি সৌরজগতের জন্য অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা। বৃহস্পতি ও শনির চাঁদ টাইটান, গ্যানিমিড, এনসেলাডাসের পাশাপাশি প্লুটোতেও এমন সমুদ্র পাওয়া গেছে।
নাসার ক্যাসিনি মিশন ২০০৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত শনি ও এর চাঁদগুলোকে প্রদক্ষিণ করে। এনসেলাডেসের পৃষ্ঠে বরফ ঢাকা সমুদ্র ক্যাসিনিই প্রথম আবিষ্কার করে।