দ্য ইনভেস্কো গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সোমবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে ৮৫টি সার্বভৌম অর্থ তহবিল ও ৫৭টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১৪২ জন প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা, অ্যাসেট ক্লাস প্রধান, উচ্চপদস্থ পোর্টফোলিও স্ট্র্যাটেজিস্টের মতামত নেয়া হয়েছে।
ভারতীয় এই প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে প্রায় ২১ ট্রিলিয়ন অ্যামেরিকান ডলারের সম্পদ পরিচালনা করে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ব্যবসা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিক থেকে ভারত এখন সবার জন্য উদাহরণ। দেশটির দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা, সময়োপযোগী নীতিমালা ও সার্বভৌম বিনিয়োগকারীদের জন্য খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ দেশটির বিনিয়োগ খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভারত এখন উদীয়মান বাজারে ঋণ বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় উদীয়মান বাজার হিসেবে চায়নাকে ছাড়িয়ে গেছে।’
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় চাহিদার ক্রমবর্ধমান বিদেশি কর্পোরেট বিনিয়োগ থেকে উপকৃত হচ্ছে মেক্সিকো, ব্রাজিলসহ বেশ কয়েকটি দেশ। চায়নাকে টপকে এবার সে কাতারে নাম লিখিয়েছে ভারত। দেশগুলো বিনিয়োগ ব্যবস্থায় চলতি অ্যাকাউন্টের ঘাটতি তহবিলে সহায়তার পাশাপাশি মুদ্রা ও ঋণ সহায়তার মাধ্যমে নিজ দেশীয় সম্পদের বাজার উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
এছাড়া বিনিয়োগের এক্সপোজার বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে ভারত ও সাউথ কোরিয়ার। প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের উদীয়মান বাজারগুলো সরকারি ও বেসরকারি উভয় বাজারেই বিভিন্ন আকর্ষণীয় বিনিয়োগের সুযোগ সরবরাহ করে।
প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতিকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্বল্পমেয়াদি ঝুঁকি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি, কঠোর অর্থনৈতিক নীতি, সরবরাহ চেইনে বিঘ্ন ঘটানো ও পরিবেশের উপর জলবায়ুর ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে।