ইরান-ইসরায়েল থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৮ ২০২৫, ১৬:২৭ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ১০ ২০২৫, ২:২৪

ইরান-ইসরায়েল ছাড়ছে বিভিন্ন দেশের নাগরিক। ছবি: রয়টার্স

ইরান-ইসরায়েল ছাড়ছে বিভিন্ন দেশের নাগরিক। ছবি: রয়টার্স

  • 0

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা ও সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বিশ্ব। বাড়তে থাকা যুদ্ধের ঝুঁকি থেকে নিজেদের নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একাধিক দেশ। ইতোমধ্যে ইসরায়েল ও ইরান থেকে শত শত বিদেশি নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, বুলগেরিয়া সহ বিভিন্ন রাষ্ট্র।

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাত বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে একের পর এক দেশ তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে অঞ্চলটি থেকে। এর মধ্যে বুলগেরিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ ইতিমধ্যেই উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে।

বুলগেরিয়া জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে ইসরায়েল থেকে ৮৯ জন বুলগেরিয়ান নাগরিক এবং আরও ৫৯ জন বিভিন্ন দেশের নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে এসব নাগরিককে বহনকারী একটি বিমান বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় অবতরণ করে। বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ জিওয়গিভ।

তিনি বলেন, ‘ইরানে আটকে থাকা বুলগেরিয়ান নাগরিকদেরও ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তবে সেখানকার পরিস্থিতি কিছুটা জটিল। যারা দেশে ফিরতে আগ্রহী, তাদের ফিরিয়ে আনতে আমরা সতর্কতার সাথে পরিকল্পনা করছি।’

এদিকে চীন জানিয়েছে, ইরান থেকে ইতিমধ্যে ৮০০ চীনা নাগরিককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বলেন, ইরানে অবস্থানরত আরও অন্তত এক হাজার নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে।

অন্যদিকে ইসরায়েল থেকেও একাধিক দেশে আটকে পড়া ইসরায়েলিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে তেল আভিভ। স্থানীয় সময় বুধবার ভোর সাড়ে ৬টায় সাইপ্রাস থেকে একটি বিশেষ বিমান তেল আভিভের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রী মিরি রেগেভ। জানা গেছে, সংঘাত শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার ইসরায়েলিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

এছাড়া ইসরায়েল সরকারের বিশেষ কর্মসূচি ‘বার্থরাইট ইসরায়েল’-এর আওতায় ভ্রমণে আসা ১৮-২৬ বছর বয়সী ১,৫০০ ইহুদি তরুণ-তরুণীকে সাগরপথে জাহাজে করে সাইপ্রাসে পাঠানো হয়েছে। এসব যাত্রী যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিক। বুধবার তাদের বহনকারী এমএস ক্রাউন আইরিস নামক প্রমোদতরী সাইপ্রাসের লারনাকা বন্দরে পৌঁছায়।

এই দলের এক সদস্য, নিউ ইয়র্কের জশ জানান, ইসরায়েলে অবস্থানকালে সাইরেন ও বিস্ফোরণের শব্দে প্রচণ্ড আতঙ্কে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসের সাশা জানান, সতর্কতা সাইরেন শুনে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল ভয়াবহ।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তায় জরুরি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সংঘাত দীর্ঘায়িত হলে এমন সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।