আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের নির্মিত সশস্ত্র হেলিকপ্টার জেড-১০এমইকে সামরিক অস্ত্রাগারে অন্তর্ভুক্ত করেছে পাকিস্তান।
সম্প্রতি ভারতের সাথে যুদ্ধে চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান ব্যবহারে ব্যাপক সাফল্যের পর পকিস্তানের এমন সিদ্ধান্তের কথা সামনে এলো। আকাশে যুদ্ধ ক্ষমতার একটি উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ হিসেবে দেশটি চীনের এই সশস্ত্র হেলিকপ্টার কিনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গালফ নিউজ জানিয়েছে, গত শনিবার পাকিস্তান আর্মি এভিয়েশন কর্পসের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জেড-১০এমইকে একটি ‘অত্যাধুনিক’ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কতগুলো হেলিকপ্টার নেয়া হয়েছে সে সংখ্যা প্রকাশ না করা হলেও, কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে বিমানটি উন্নত রাডার এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থায় সজ্জিত।
ভারতের সীমান্তে চীন যে মডেলগুলো ব্যবহার করে তার অনুরূপ এই হেলিকপ্টারটি দিন এবং রাত উভয় আবহাওয়ায় নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম।
এই অন্তর্ভুক্তি পাকিস্তানের পুরনো অ্যামেরিকার তৈরি এআইচ-১ কোবরা এবং রাশিয়ান মি-৩৫হিন্দ হেলিকপ্টার বহরের প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের মতে,পাকিস্তানের মাধ্যমে জেড-১০এমইর প্রথম রপ্তানি চুক্তি হয়েছে।
চাংহে এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের নির্মিত, জেড-১০এমই চীনের জুড-১০ এর একটি আপগ্রেডেড রপ্তানি সংস্করণ। এই হেলিকপ্টারগুলো তিব্বত মালভূমি এবং তাইওয়ান প্রণালীর মতো সংবেদনশীল এলাকায় মোতায়েন করে থাকে চীন।
সম্প্রতি উন্নত যুদ্ধবিমান সহ অতিরিক্ত চীনা অস্ত্র কেনার ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। তারপরই এই অন্তর্ভুক্তির কথা ঘোষণা করা হল।
এর আগে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির জুলাই মাসে চীনের ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেন। এসময় চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান ঝাং ইউক্সিয়া দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান কৌশলগত সহযোগিতা আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি দেন।