ক্যাপিটলে সহিংসতা ঠেকাতে ব্যর্থ এফবিআই ও ডিএইচএস

টিবিএন ডেস্ক

জুন ২৭ ২০২৩, ২৩:৫৭

ক্যাপিটলে ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

ক্যাপিটলে ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

অ্যামেরিকার ওয়াশিংটন ডি.সি.-এর ক্যাপিটলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকদের সংঘর্ষের আগাম তথ্য এফবিআইয়ের কাছে থাকার পরেও সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সংস্থাটির তীব্র নিন্দা করেছেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির চেয়ারম্যান সেনেটর গ্রে পিটারস।

সেনেট হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এফবিআই ও ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) গোয়েন্দা শাখা ৬ জানুয়ারির বিক্ষোভের তীব্রতা সম্পর্কে আগাম তথ্য পাওয়ার পরেও আনুষ্ঠানিকভাবে সবাইকে সতর্ক করতে ব্যর্থ হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মৌলিক স্তরেই সংস্থাগুলো তাদের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি পাবলিক ও নন-পাবলিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যও তারা সংযুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।’

ডেমোক্র্যাটিক নেতৃত্বাধীন সেনেট প্যানেলের তদন্তেও দেখা যায়, ‘৬ জানুয়ারির সহিংস পরিস্থিতি ও হুমকির ইঙ্গিত সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য থাকার পরেও বুদ্ধিমত্তার ভিত্তিতে সতর্কতা জারি করতে ব্যর্থ হয়েছে এফবিআই ও ডিএইচএস।’

সেনেট কমিটির প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, হাউযের গত ৬ জানুয়ারির কমিটির তথ্য থেকে দেখা গেছে, এফবিআই ও ডিএইচএস অফিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প সমর্থকদের বিক্ষোভ সম্পর্কে প্রাথমিক বিশৃঙ্খলা, সতর্কতা ও অন্য হুমকি সম্পর্কে আগেই খবর পেয়েছিল। কমিটির বিশ্বাস ছিল ৬ জানুয়ারির আগেই এসব তথ্য প্রকাশ করে ক্যাপিটলে সতর্কতা জারি করবে সংস্থা দুটি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কট্টর ডানপন্থি সংগঠন ‘প্রাউড বয়েজের’ হুমকি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে আগেই সতর্ক করা হয়। সূত্রটি তখন এফবিআইকে অনুরোধ করে বলেছিল, ‘দয়া করে এই টিপটিকে গুরুত্ব সহকারে নিন ও হুমকি সম্পর্কে আরও গভীরভাবে তদন্ত করুন।’

নতুন সেনেট রিপোর্টে সংস্থাগুলোকে যে বিপদগুলো আগেই জানা ছিল তা নিয়ে হেলাফেলা করা, অতীতের সমস্যা থেকে কৌশলগত পদক্ষেপে দ্বিধা করা ও প্রাপ্ত তথ্যগুলো দেশটির অন্তর্বর্তী নিরাপত্তা সংগঠনগুলোতে ভাগ করে না নেয়ায় দায়ী করেছে।

রিপোর্টের অন্য ইস্যুগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল এফবিআইয়ের অলিখিতভাবে সতর্কতা জারি করার প্রবণতা। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্কতা জারি না করে ৬ জানুয়ারির আগের রাতে মাত্র দুটি নথি প্রকাশ করেছিল। যদিও তারা অনেক আগেই ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পপন্থিদের বিক্ষোভ সম্পর্কে জ্ঞাত ছিল।

সেনেটরে গ্যারি পিটারস, ডি-মিক সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘৬ জানুয়ারির বিক্ষোভ ও হামলা সাধারণ দৃষ্টিতেও পরিকল্পিত মনে হয়েছে। অথচ আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্কতা জারি না করে পুরোপুরি তা আগ্রাহ্য করেছে।’

অবশ্য এফবিআই ও ডিএইচএস দায় এড়াতে পাল্টাপাল্টি সংস্থার দিকে আঙুল তুলেছে।

পিটারস বলেন, ‘দুই সংস্থা একে অপরকে দায়ী করে ইঙ্গিত করছে। ঠিক কোন সংস্থা যে আসলে দোষী তা বলা বেশ কঠিন।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন