দীর্ঘ আপত্তির পর অবশেষে কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টিন সম্পর্কিত নথি প্রকাশে একটি বিলে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
নিজ দল তথা রিপাবলিকান পার্টির চাপের মুখে বুধবার ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের মাধ্যমে নথি প্রকাশের বিলে সই করেন তিনি।
প্রেসিডেন্টের সইয়ের আগে কংগ্রেসের দুই কক্ষে বিপুল ভোটে পাস হয় এপস্টিন সম্পর্কিত গোপনীয় নয়, এমন সব নথি প্রকাশের প্রস্তাব।
বিলটির নির্দেশনা অনুযায়ী, ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এপস্টিন সম্পর্কিত প্রাপ্ত সব নথি প্রকাশ করবে, সংখ্যায় যা এক লাখ পৃষ্ঠা।
এমন বাস্তবতায় উৎকণ্ঠা বেড়ে চলেছে ব্যবসায়িক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক মহলে। কেননা প্রয়াত এ যৌন অপরাধী ও অ্যামেরিকান অর্থদাতার ঘনিষ্ঠতা ছিল উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে।
এরই মধ্যে এপস্টিনের সঙ্গে সখ্যা ও অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের ভাই অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর, সাবেক ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
আদালতের নথি প্রকাশ করার পর অভিযোগ ও শাস্তির খাতায় নাম উঠে আসতে পারে আরও অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তির।
বিলে থাকা বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে জানিয়েছে আইউইটনেস নিউজ।
বিলটিতে যেসব বিষয় রয়েছে
ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস কর্তৃক প্রকাশিত নথিগুলো ছাড়া হবে অনলাইনে। পাঠকদের জন্য থাকবে ডাউনলোড করে পড়ার ব্যবস্থা।
এপস্টিনের পাশাপাশি প্রকাশ করা হবে তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ও অপকর্মের সহযোগী ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।
এপস্টিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও সখ্য গড়ে তোলা ব্যক্তিদের তালিকা ও কর্মকাণ্ডের তথ্য প্রকাশ করা হবে।
ম্যানহাটনের জেলে ২০১৯ সালে এপস্টিনের আত্মহত্যা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানাবে প্রকাশিত নথি।
নথিতে এপস্টিন কর্তৃক ভুক্তভোগী নারীদের নাম, পরিচয় ও তথ্য গোপনের স্বাধীনতা থাকবে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের।
চলমান তদন্ত বা বিচারকে ব্যাহত করতে পারে, এমন কোনো তথ্য প্রকাশ আটকানোর অনুমোদন দিয়েছে বিলটি।
এর ফলে বিলের পক্ষে থাকা অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে, জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এপস্টিন নথিগুলোতে থাকা লোকজনের বিরুদ্ধে সক্রিয় তদন্ত শুরুর মাধ্যমে রেকর্ডগুলোকে লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখবে।