
এইচ-১বি ভিসা নিয়ে আরও কঠোর শর্ত আরোপ করল ট্রাম্প প্রশাসন

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪ ২০২৫, ৮:০৪ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৫ ২০২৫, ৫:০১

সব অ্যামেরিকান দূতাবাসে নতুন নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। ছবি: দ্য ডন
- 0
শুধু আবেদনকারী নয়, তার সঙ্গে আসা পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য।
এইচ-১বি ভিসার আবেদনকারীদের কঠোর যাচাই-বাছাই বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
সরকারের এক মেমো অনুযায়ী, বাকস্বাধীনতার সেন্সরশিপের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের আবেদন বাতিল করা হতে পারে।
ডিসেম্বরের ২ তারিখে সব অ্যামেরিকান দূতাবাসে পাঠানো মেমোতে বলা হয়েছে, কনস্যুলার কর্মকর্তাদের আবেদনকারীদের জীবনবৃত্তান্ত বা লিঙ্কডইন প্রোফাইল খতিয়ে দেখতে হবে। শুধু আবেদনকারী নয়, তার সঙ্গে আসা পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য।
কর্মকর্তাদের লক্ষ্য থাকবে দেখা, আবেদনকারীদের পর্যবেক্ষণ করা। মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য, কনটেন্ট মনিটরিং, তথ্য যাচাই, নিয়ম-নীতি মেনে চলা এবং অনলাইন সুরক্ষার মতো কার্যকলাপগুলো এ পর্যবেক্ষণে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
মেমোতে বলা হয়েছে, ‘ইমিগ্রেশন এবং ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের একটি নির্দিষ্ট ধারার আওতায় যদি কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় যে আবেদনকারী অ্যামেরিকার সুরক্ষিত মত প্রকাশের সেন্সরশিপের জন্য দায়ী হন, বা সেন্সরশিপের চেষ্টা করেন, অথবা সেন্সরশিপের সাথে জড়িত থাকেন, তবে তাকে অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।’
এই কঠোর ও বর্ধিত যাচাই- বাছাই এই ভিসার জন্য নতুন। মেমোতে বলা হয়েছে, ‘সব ভিসা আবেদনকারীর ক্ষেত্রেই এই নীতি প্রযোজ্য, কিন্তু এইচ -১বি আবেদনকারীদের জন্য বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। কারণ তারা প্রায়ই প্রযুক্তি খাতে কাজ করেছেন যার মধ্যে রয়েছে সামাজিক মাধ্যম বা সুরক্ষিত মত প্রকাশ দমনে জড়িত আর্থিক পরিষেবা সংস্থাগুলো।’
মেমোতে কর্মকর্তাদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘আপনাদের আবেদনকারীর কর্মজীবনের ইতিহাস ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় তারা এমন কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত নেই।’
নতুন এই যাচাই-বাছাই নিয়ম নতুন আবেদনকারী এবং পুনরায় আবেদনকারী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
গত মে মাসে, সিনেটর রুবিও বলেছেন, যারা অ্যামেরিকান নাগরিকদের মত প্রকাশে বাঁধা দেয় বা সেন্সর করে, তাদের ভিসা বাতিল হতে পারে। তিনি আরও বলেছিলেন, এই নিয়ম অ্যামেরিকার টেক কোম্পানিতে কাজ করা বিদেশি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে।