গেলো শনিবার রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পহান—এই তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িয়েছে অ্যামেরিকা। হামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া,ভারত স্পেনের মতো দেশগুলো।
আল-জাজিরার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে অ্যামেরিকার এই হামলাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূখণ্ডকে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়। হামলার পেছনে যে যুক্তিই উপস্থাপন করা হোক না কেন, তা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা এই আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি এবং চলমান সহিংস পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পথে ফিরিয়ে আনার পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সোমবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মস্কো যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
অন্যদিকে অ্যামেরিকার হামলার পর সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিকমাধ্যমে দেয়া এক বার্তায় মোদি জানিয়েছেন, তিনি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় অ্যামেরিকার বিমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন।
আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য অবিলম্বে উত্তেজনা প্রশমন, সংলাপ ও কূটনীতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
ইরানের ওপর অ্যামেরিকার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রমবর্ধ্মান উত্তেজনায় স্পেন খুবই উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো।
তিনি বলেন, সামরিক সমাধান নয়, কূটনীতির মাধ্যমে মধ্য প্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরবে। তাই আমরা আশা করি যে সবাই আলোচনার টেবিলে ফিরে আসবে’।