বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত, ১০ স্টেটে শিশুদের ফর্মুলা দুধ প্রত্যাহার

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯ ২০২৫, ৮:০৬

মোট ফর্মুলা বিক্রির আনুমানিক ১ শতাংশ ছিল এই লট। ছবি: টিবিএন কোলাজ

মোট ফর্মুলা বিক্রির আনুমানিক ১ শতাংশ ছিল এই লট। ছবি: টিবিএন কোলাজ

  • 0

গ্রাহকরা প্রত্যাহার হওয়া ফর্মুলা ফেলে দিতে বা যেখানে কেনা হয়েছিল সেখানে ফেরত দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বোটুলিজম ব্যাকটেরিয়ার কারণে ১০টি স্টেটে শিশু ফর্মুলা দুধ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ফেডারেল এবং স্টেটের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দেশের ১০টি স্টেটে শিশুদের ফর্মুলার সাথে সম্পর্কিত ১৩টি শিশু বোটুলিজমের ঘটনা তদন্ত করছেন। এসব ফর্মুলা দুধ ইতোমধ্যে প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) জানায়, বাইহার্ট ইনকর্পোরেটেড কোম্পানির হোল নিউট্রিশন ইনফ্যান্ট ফর্মুলার দুটি লট প্রত্যাহার শুরু করতে সম্মত হয়েছে কোম্পানিটি।

সিবিএস নিউজ জানায়, দুটি লট থেকে ফর্মুলা খাওয়ার পর ১৩ জন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিশুদের সংক্রমণের ঘটনাগুলো - অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, ইলিনয়, মিনেসোটা, নিউ জার্সি, ওরেগন, পেনসিলভানিয়া, রোড আইল্যান্ড, টেক্সাস এবং ওয়াশিংটনে শনাক্ত করা হয়েছে।

এ ঘটনায় এখনও কোন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এফডিএ জানিয়েছে যে দূষণ কীভাবে ঘটেছে এবং এটি অন্য কোনও পণ্যকে প্রভাবিত করেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সিডিসি জানায়, এই ফর্মুলা অনলাইনে এবং প্রধান খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে গ্রাহকরা কিনতে পারতেন। দেশের মোট ফর্মুলা বিক্রির আনুমানিক ১ শতাংশ ছিল এই লট।

যেসব গ্রাহকরা প্রত্যাহারকৃত ফর্মুলা কিনেছেন তাদের প্রয়োজনে লট নম্বর লিখে রাখার পরামর্শ দিয়েছে সিডিস। গ্রাহকরা প্রত্যাহার হওয়া ফর্মুলা ফেলে দিতে বা যেখানে কেনা হয়েছিল সেখানে ফেরত দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সিডিসি সতর্ক করে বলেছে, যারা প্রত্যাহার করা ফর্মুলা ব্যবহার করেছেন, তাদের উচিত ফর্মুলার সংস্পর্শে থাকা সকল পাত্র, ডিশওয়াশার বা গরম সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করা।

যদি কোনো শিশু এই প্রত্যাহার করা ফর্মুলা খেয়ে থাকে এবং এরপর খাবারে আগ্রহ কমা, গিলতে কষ্ট হওয়া বা মুখের অভিব্যক্তি স্বাভাবিক নয় এমন লক্ষণ দেখা দেয়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

শিশুদের বোটুলিজমের জন্য মূলত এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া দায়ী, যা বৃহৎ অন্ত্রে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন করে।

সিডিসি জানায়, শিশুর বোটুলিজমের লক্ষণ দেখা দিতে সপ্তাহ লেগে যেতে পারে, তাই অভিভাবকদের সতর্ক থাকা উচিত। শিশুর বোটুলিজমের সম্ভাব্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য, খাবারে আগ্রহ কমা, চোখের পাতার নিচে ঝুলে যাওয়া (পটোসিস), মুখের অভিব্যক্তি স্বাভাবিক না থাকা, চুষা ও ঘনঘন গিলে ফেলার প্রতিক্রিয়া কমে যাওয়া, দুর্বল বা অস্বাভাবিক কণ্ঠস্বর, শ্বাসকষ্ট।